কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুইটি অবৈধ করাতকল উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ সময় দেশের অন্যতম সংরক্ষিত ও সমৃদ্ধ বনাঞ্চল উপজেলার শাপলাপুর সংরক্ষিত বন ঘেষে করাতকল স্থাপন করায় তা উচ্ছেদ এবং জ্বালানি কাঠ জব্দ ও করাতকলের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
একই সাথে বিভিন্ন মেশিন জব্দ ও ধ্বংস করে করাতকলের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
শনিবার (১ জুন) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার শাপলাপুরের জেমঘাট ও দিনেশপুর বারিয়া পাড়ায় অভিযান চালিয়ে করাতকল দুইটি উচ্ছেদ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীকি মারমা।
তিনি বলেন, করাতকল দুইটি দীর্ঘদিন পরিচালনা করা হচ্ছিল। এদের ছিল না বৈধ কোন কাগজপত্রও। এর মধ্যে একটি নতুন স্থাপন করতে মালামাল নিয়ে আসছিল এমন ঘটনার সত্যতা মেলায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ এই দুইটি করাতকল উচ্ছেদ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগামীতে পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল অবৈধ করাতকল উচ্ছেদ করা হবে। তাদের কর্মকাণ্ডের ফলে বনাঞ্চল ও সামাজিক বনায়ন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। এ সময় দুইটি অবৈধ করাতকল উচ্ছেদ ও ৩১ দশমিক ২০ ঘনফুট কাঠ জব্দ করা হয়েছে।
মহেশখালী রেঞ্জের কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, বেআইনিভাবে শাপলাপুর সংরক্ষিত বন ঘেষে স্থাপন ও পরিচালনার অভিযোগে দুটি করাতকল উচ্ছেদ করা হয়। সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ (বুধবার) মহেশখালী করাতকল মালিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগ। সভায় অবৈধ স-মিল মালিকরা নিজ উদ্যাগে অবৈধ করাত কল সরিয়ে না নিলে বন বিভাগের পক্ষ থেকে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন রেঞ্জ কর্মকর্তা। এর ধারাবাহিকতায় এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানান বনবিভাগ।
পূর্বকোণ/হুবাইব/জেইউ/পারভেজ