খাগড়াছড়িতে চেঙ্গী নদী ও দীঘিনালায় মাইনি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৮টি গ্রাম পানিতে ডুবে গেছে। এতে ৭ শতাধিক বাড়ি-ঘর পানিতে ডুবে গেছে।
পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় এসব বাড়িঘর ডুবে যাওয়ায় লোকজনগুলো আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। অনেকে স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্র স্কুল-কলেজে আশ্রয় নিয়েছে। রাতে হঠাৎ করে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর পানি বেড়ে গিয়ে নিম্নাঞ্চল গ্রামগুলো ডুবে যায়। এতে শাকসবজিসহ ফসলি জমির কিছু ধানও ডুবে যায়। জেলা সদরের গরুবাজার, সবজিবাজার সড়ক দুটো পানির নিচে।
গঞ্জপাড়া কালাডেবা জীপ স্টেশন এলাকা মুসলিমপাড়া শব্দমিয়া পাড়া বাসটার্মিনাল নিচু অঞ্চলগুলো এখনও ডুবে আছে।
দীঘিনালার মাইনি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে মেরুং হাজাছড়া ছোট মেরুংও বেতচড়িসহ বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলোতে পানি ঢুকে পড়েছে। টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসেরও সৃষ্টি হয়েছে। তবে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে। এখানে আকাশ এখনো কালো মেঘে ডাকা। বৃষ্টি হলে আরও বেশি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
এদিকে, খাগড়াছড়িতে গতকাল রাত থেকে বিদ্যুৎ নেই। একই সাথে মোবাইল নেটওয়ার্কও নেই। ফলে লোকজন চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ