ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় সন্দ্বীপ উপজেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলা এবং স্থানীয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কাজ করছে। দিনে সাগরে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই থেকে আড়াই ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে রবিবার (২৬ মে) রাত ৯টা পর্যন্ত কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় এক লাখ মানুষের জন্য ১৬২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গবাদিপশুর জন্য পাঁচটি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এগুলোতে প্রায় সাত হাজার গবাদিপশুকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা যাবে। উপজেলা পরিষদ, পুলিশ, আনসার, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার ও পৌরসভার মেয়র-কাউন্সিলরসহ রেড ক্রিসেন্টের ভলেন্টিয়ার, বেড়িবাঁধ এলাকায় ব্যাপক প্রচার প্রচারণা করছেন। সন্দ্বীপ থেকে মূল ভূখণ্ডের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌ-রুটগুলোতে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত আকাশ মোটামুটি পরিষ্কার ছিল। ১০টার পর থেকে বাতাস বাড়তে থাকে। দুপুর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হয়। জোয়ারের সময় সন্দ্বীপ চ্যানেল নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় পাঁচ ফুট জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসার জন্য মাইকিং করেছে উপজেলা প্রশাসন। শনিবার রাতে বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে আসে। সকালে আবার তারা চলে যায়। রবিবার রাত ৯টা পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে কেউ আসতে দেখা যায়নি।
সন্দ্বীপের ৯ দশমিক ৮ কিলোমিটার ব্লক বেড়িবাঁধ দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশের মানুষের মধ্যে অনেকটা স্বস্তি দিয়েছে। বাকি বেড়িবাঁধগুলোও মোটামুটি ভালো আছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী আনিস হায়দার। তিনি বলেন, সন্দ্বীপে যেসব বেড়িবাঁধ রয়েছে তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তেমন কোন আশঙ্কা নাই। তারপরও যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আমাদের লোকজন মাঠে রয়েছেন।
পূর্বকোণ/নরোত্তম/জেইউ/পারভেজ