ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে। বেড়িবাঁধ ও নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সড়িয়ে নিতে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন।
তাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ১৬২ আশ্রয়কেন্দ্র ও পাঁচটি মুজিব কিল্লা। উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জনগণকে সচেতন করে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনতে কাজ করছে।
দ্বীপের দক্ষিণাংশে সারিকাইত ও মগধরা ইউনিয়নের নতুন টেকসই ব্লক বেড়িবাঁধ উপকূলের মানুষের মাঝে অনেকটা স্বস্তি ফিরিয়ে দিয়েছে। তবে সারিকাইতে আংশিক, মাইটভাঙ্গা, মুছাপুর, আজিমপুর ইউনিয়নের কয়েকটি অংশে দুর্বল বেড়িবাঁধের কারণে সেখানকার বাসিন্দারা কিছুটা আতঙ্কে রয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের সতর্কতা সংকেত বাড়ায় সাথে সাথে শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যার পর থেকে সন্দ্বীপের বেড়িবাঁধ এলাকায় সচেতনতামূলক মাইকিং শুরু হয়েছে। উপজেলার মোট ১৬২ টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও পাঁচটি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে বেড়িবাঁধ ও পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় আতঙ্কে আছেন বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন উড়িরচরের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ।
সন্দ্বীপ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিগ্যান চাকমা বলেন, রেনাল মোকাবেলায় বিকেলে আমরা সভা করেছি। মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছে স্থানীয় চেয়ারম্যানদের তত্ত্ববধানে। আমরাও মাঠে আছি।
রেড ক্রিসেন্টের ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির অফিস সহকারী আকরাম হোসেন মুকুল বলেন, আমাদের মোট ২ হাজার ৯২০ জন স্বেচ্ছাসেবক আছে। এলাকাভিত্তিক সবাইকে মাঠে নামার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমি নিজেও বেড়িবাঁধ এলাকায় মাইকিং করছি এখন। তবে মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ও ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময় মোকাবিলা করার জন্য আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি।
পূর্বকোণ/নরোত্তম/জেইউ/পারভেজ