কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের পাঁচ বছরের ব্যবধানে সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৩৩ গুণ।
আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের হলফনামা ও গত ২০১৮ সালের পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থীর হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, পাঁচ বছরের ব্যবধানে সম্পদের পাহাড় গড়েছে সাবেক মেয়র ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মুজিবুর রহমান।
তিনি গত ২৪ জুন, ২০১৮ সালের কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনের হলফনামায় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ দেখান সর্বমোট ১৩ লাখ ৫৬ হাজার ২৪৯ টাকা। যার মধ্যে রয়েছে: তিনি এবং তার উপর নির্ভরশীলদের (স্ত্রী ফারহানা আক্তারসহ) আয়ের উৎসে স্থাবর সম্পদ অংশে প্রার্থীর বাৎসরিক আয় বাবদ কৃষি খাত ৩২ হাজার টাকা, বাড়ি ১ লাখ ৯০ হাজার ৪৪০ টাকা, ব্যবসা বাবদ ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা, মৎস্য খামার হতে ৬ লাখ ২০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ১০ লাখ ৫৫ হাজার ৪৪০ টাকা এবং অস্থাবর সম্পদ অংশে নগদ ৩ লাখ ৮০৯ টাকা।
আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। তারমধ্যে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীদের দাখিল করা হলফনামায় মুজিবুর রহমান স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ দেখায় সর্বমোট ৪ কোটি ৪১ লাখ ৪৮ হাজার ৯ টাকা।
যার মধ্যে দেখানো হয়েছে, ডেইরি ফার্ম, ফিশিংবোট ও কৃষি খাতে বার্ষিক আয় ৩২ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে আয় ৪০ লাখ ২০ হাজার টাকা। চাকরি থেকে সম্মানি ভাতা পান ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তার নগদ টাকা আছে ৩৩ লাখ টাকা। বাড়ি-এপার্টমেন্ট, দোকান ভাড়া থেকে আয় করেন ১৪ লাখ ১২ হাজার ৭০০ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কোনো টাকা জমা নেই। তবে নিজের নামে ১৩ লাখ ২ হাজার টাকা দামের একটি নোহা গাড়ি ও ২০ লাখ টাকা দামের একটি মাছ ধরার নৌকা আছে। উত্তরণে প্লট শেয়ার আছে ২৪ লাখ ৬১ হাজার ১২ টাকার এবং ব্যবসায় পুঁজি আছে ৯৯ লাখ ১৫ হাজার ৩৭৮ টাকার। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে মুজিবুর রহমানের আছে ৭ লাখ টাকা দামের দশমিক ২১৫৪ একর কৃষিজমি, ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা দামের ১ দশমিক ৫১ একর জমি ও ৫৬ হাজার টাকা দামের ১৪ শতক জমি।
আরও রয়েছে ১৬ লাখ ৭৪ হাজার টাকা দামের শূন্য দশমিক শূন্য ৬ একর অকৃষি জমি, ১ লাখ ১০ হাজার টাকার ১০ শতক, ১ লাখ ৯৪ হাজার ৯১৯ টাকার ১ দশমিক ১৫ একর, ৩৬ লাখ টাকার ২ একর ৪০ শতক জমি। রয়েছে ১৩ শতক জমিতে ৮১ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের একটি দালান, ১১ শতক জমিতে ২১ লাখ টাকার একটি বাড়ি, ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার দুটি ফিশারি প্রজেক্ট ও একটি অ্যাগ্রো ফার্ম, ৫ লাখ টাকা দামের একটি পেট্রোলপাম্প। তবে তার দায়দেনা নেই।
গত ২০১৮ সালের সম্পদ ছিল ১৩ লাখ ৫৬ হাজার ২ শত ৪৯ টাকা। অল্প সময়ের ব্যবধানে বেড়ে ২০২৪ সালে তা দাঁড়ায় ৪ কোটি ৪১ লাখ ৪৮ হাজার ৯ টাকা। পাঁচ বছরের ব্যবধানে বহুগুণ সম্পদ বেড়ে যাওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
পূর্বকোণ/এরফান/জেইউ/পারভেজ