কালবৈশাখীর তাণ্ডবে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার একাধিক এলাকায় গাছ উপড়ে পড়েছে। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বসতঘর, গাছপালা, বৈদ্যুতিক মিটার, খুঁটি ও ট্রান্সফরমার ভেঙে পড়েছে।
সোমবার (৬ মে) দুপুরের পর প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় এসব ঘটনা ঘটে। এছাড়া উপজেলার অন্তত ১০টি গ্রামে বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে, লণ্ডভণ্ড হয়েছে জনপদ।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার পোমরা বুড়িরদোকান, সৌদিয়াগেট, পৌরসভার কাদেরনগর, মডেল মসজিদ এলাকা, মরিয়মনগরের চৌমুহনী বিহার গেট এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সড়কের উপর গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট লেগে যায়। গাছ কেটে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ফায়ার সার্ভিসের রাঙ্গুনিয়া স্টেশন কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান সুমন বলেন, ভারি বৃষ্টি ও প্রবল ঝড়ো হাওয়ার কারণে কাপ্তাই সড়কের একাধিক স্থানে গাছ উপড়ে ও ভেঙে সড়কের উপর পড়েছে। এছাড়া মরিয়মনগর ডিসি সড়কের শান্তিনিকেতন, সরফভাটাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সড়কে গাছ ভেঙে পড়েছে। এতে এসব এলাকায় কয়েক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে আমরা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে প্রায় দীর্ঘ চেষ্টায় একে একে গাছগুলো সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
উল্লেখ্য, কাপ্তাই সড়কে প্রায়শঃ গাছ উপড়ে পড়ার ঘটনা ঘটছে। এমনকি সামান্য বাতাসেও সড়কের পাশে গাছের ডালপালা ভেঙে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। সড়কের পাশের শতশত মরা গাছ, অনেক গাছের গোড়ার মাটি সরে যাওয়া এবং সড়কের উপর ঝুঁকে থাকায় গাছগুলো এভাবে বার বার ভেঙে পড়ছে বলে জানা যায়। এটি সড়কে নতুন আপদ হিসাবে দেখা দিয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের এই নিয়ে তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায় না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
পূর্বকোণ/জিগার/জেইউ/পারভেজ