চট্টগ্রামের রাউজানে অপহরণের ১৩ ঘণ্টা পর স্কুলছাত্র মো. সাজিদুল ইসলামকে উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (৫ মে) দিবাগত রাত ২টায় মুন্সিরঘাটা এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে পরিবার।
সাজিদ পাহাড়তলী ইউনিয়নের মোহাম্মদ ওসমানের ছেলে।
এর আগে রবিবার প্রতিদিনের মতো স্কুল ছুটির পর দুপুরে বাড়ি ফিরছিল রাউজানের চুয়েট স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সাজিদুল ইসলাম। পথে এক নারী তাকে কৌশলে অজ্ঞান করে তুলে দেয় অপহরণকারী চক্রের হাতে। বাসায় ফিরে না আসায় সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজা হয় তাকে। বিষয়টি জানানো হয় রাউজান থানা পুলিশকেও।
সাজিদুলকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে তার মামা সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী জানান, স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে রাউজানের পাহাড়তলী চৌমুহনী এলাকা থেকে সাজিদুলকে অপহরণ করে সংঘবদ্ধ একটি চক্র। পরে ঘটনাস্থল থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে রাউজানের মুন্সিরঘাটা এলাকা থেকে ওইদিন দিবাগত রাত ২টায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় এক নারী তাকে একটি কাগজ দিয়ে সেখানে লেখা ঠিকানাটি কোথায়- জানতে চায়। কাগজে লেখা অক্ষরগুলো ছিল খুবই ছোট। সাজিদুল সেই লেখা দেখতে কাগজটি চোখের কাছাকাছি নিয়ে এলে সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞান হয়ে যায়।
সাজিদুল জানিয়েছে- জ্ঞান ফিরলে সে নিজেকে একটি বেড়ার ঘরে দেখতে পায়। সেখানে তিন যুবক তাকে মায়ের মোবাইল নম্বর দিতে বলে। মোবাইল নম্বর জানে না বললে যুবকরা তাকে মারধর করে। এরমধ্যে তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হলে অপহরণকারীরা সিএনজি টেক্সিতে তুলে তাকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। মুন্সির ঘাটা এলাকায় পৌঁছালে টেক্সি থেকে কৌশলে লাফ দেয় সাজিদুল। এরপর সেখানকার একটি দোকানে গিয়ে তার মায়ের মোবাইলে ফোন করে। পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে রাত ২টার দিকে বাড়ি নিয়ে আসে।
পুলিশ বলছে, বিভিন্ন কৌশলে প্রতারক চক্র প্রতারণা করছে। সাজিদুলের যে ঘটনা জানা গেল, তাতে মনে হচ্ছে কাগজে কোনো কেমিক্যাল মেশানো ছিল। তাই চলতিপথে, বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে অপরিচিত কেউ সাহায্যের জন্য বা খাতির করতে এলে পাত্তা দেওয়া যাবে না। অপরিচিত মানুষের সঙ্গে সব ধরনের লেনদেন থেকে বিরত থাকতে হবে। কোনো কিছু খেতে দিলে খাওয়া যাবে না।
পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ