কক্সবাজারের সদর উপজেলার ভারুয়াখালীতে অপহৃত এক এনজিও কর্মীকে উদ্ধার করতে গিয়ে র্যাবের সঙ্গে ডাকাত দলের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। অভিযানে র্যাবের সদস্যরা ডাকাত দল শের বাহিনীর অন্যতম সহযোগী ফরহাদকে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত কৃষকের নাম বায়তুল্লাহ (৫২)। তিনি ওই গ্রামের মৃত ছৈয়দুল হকের ছেলে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুরাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি সংস্থা প্রত্যাশীর কর্মী মাসুদ চৌধুরীকে গতকাল বিকেলে অপহরণ করে ডাকাত দল শের বাহিনী। রাতে তাকে মুরাপাড়ার একটি পাহাড়ে আটকে রেখে পরিবারের কাছে ছয় লাখ টাকার মুক্তিপণ দাবি করে ডাকাত দল।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে ভারুয়াখালীর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুরাপাড়ায় এলাকার পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। অভিযানে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ডাকাতরা। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলিতে স্থানীয় কৃষক বায়তুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হন এবং ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। এ সময় র্যাবের একজন সদস্যও আহত হন। পরে পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের সদস্য ফরহাদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতিসহ সাতটির বেশি মামলা রয়েছে
নিহত বায়তুল্লাহর ভাই করিম উল্লাহ বলেন, ডাকাত ফরহাদ বাহিনীর সদস্যরা একজন এনজিও কর্মীকে জিম্মি করে। তাকে উদ্ধার করতে গেলে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি করে ডাকাতরা। পরে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে হাসপাতালে আনা হলে আমার ভাই মারা যান। শের বাহিনীর প্রধান ডাকাত ফরহাদ-মোস্তক এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা আমাদের এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা বাজারে আসলে সবার মোবাইল ফোনের ভিডিও ক্যামেরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিতো।
ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বলেন, বায়তুল্লাহ নামে এক কৃষক গুলিতে নিহত হয়েছে বলে খবর শুনেছি। তিনি কৃষি কাজ করে পরিবার চালাতেন।
জানা যায়, ফরহাদ ও তার বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে ভারুয়াখালী এলাকায় অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে পরিচিত। এলাকাবাসী জানান, তারা নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছে এবং এলাকায় সন্ত্রাসের মহল সৃষ্টি করে রেখেছে।
পূর্বকোণ/পিআর/এসি