কক্সবাজারের চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনা নিত্যকার ঘটনায় পরিণত হয়েছে। মহাসড়ক, আঞ্চলিক ও অভ্যন্তরীণ সড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় দু’মাসে নারী-শিশুসহ ২৬ জন নিহত ও ৫৯ জন আহত হয়েছে। এতে সড়ক যাতায়াতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।
উপজেলার ভেন্ডিবাজার কমিটির সভাপতি এজাহার সওদাগর জানান, মহাসড়কের ভেন্ডিবাজার এলাকার মাত্র ৫০ গজের মধ্যে গত এক সপ্তাহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে। বাজার পয়েন্টে অন্তত দুটি স্পিডব্রেকার ( গতিরোধক) প্রয়োজন।
ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী জানান, চকরিয়ার বিভিন্ন সড়কে দু’মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫৯ জন।
চিরিঙ্গা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মাহবুব আলম ভূঁইয়া জানান, যাত্রী পেতে প্রতিযোগিতামূলক যানবাহন চালানো, তরুণ যুবকদের বাইক নিয়ে বেপরোয়া গতিতে ঘুরাঘুরি, প্রশিক্ষণ ছাড়াই কথিত চালক পরিবহনে ড্রাইভিং করা ও চালকের পরিবর্তে হেলপার গাড়ি চালানোর কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। অসংখ্য গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করলেও তারা জরিমানা আদায় করে ত্রুটিবিচ্যুতি না সারিয়ে ফের সড়কে গাড়ি চালানোর কারণেও দুর্ঘটনা ঘটছে হরহামেশা।
এদিকে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকাল ৩টার দিকে ভেন্ডিবাজার ও তৎসংলগ্ন মসজিদ কমিটির যৌথ উদ্যোগে সড়কে দুর্ঘটনা রোধে খতমে কুরআন, আলোচনা সভা ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন ফাঁসিয়াখালী আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মুফতি আব্দুল মন্নান।
তিনি মোনাজাতে সড়ক দুর্ঘটনা ছাড়াও অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, তীব্র তাপদাহ, ফিলিস্তিন ও মায়ানমারে মুসলিমদের উপর নির্যাতন ও নির্বিচারে গণহত্যা রোধে মহান সৃষ্টিকর্তার গায়েবি রহমত কামনা করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ভেন্ডিবাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন।
পূর্বকোণ/জাহেদ/জেইউ/পারভেজ