ছাত্র আন্দোলনের মুখে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) বন্ধ ঘোষণা দিয়ে বিকেল ৫টার মধ্যে ছাত্রদের হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলেও রাত ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা হলত্যাগ করেনি।
এমন পরিস্থিতিতে চুয়েট প্রশাসন, আন্দোলনকারী ছাত্রদের প্রতিনিধি ও রাউজান উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের প্রতিনিধি নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বৈঠক শেষ হলেও তেমন সিদ্ধান্ত উপনীত হতে পারেনি কেউ। ছাত্ররা বৈঠকের কোন সিদ্ধান্ত মানেনি বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি। তবে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী চুয়েট প্রশাসনের নির্দেশ না মেনে ছাত্ররা হলে অবস্থান করছেন।
এ প্রসঙ্গে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা বলেন, চুয়েট স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, সেহেতু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, চুয়েট প্রশাসন কিংবা জেলা প্রশাসনের কোন নির্দেশনা ব্যতিত আমরা কোন পদক্ষেপ নেব না।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন বলেন, চুয়েট বন্ধ ঘোষণার পরও শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে থাকায় রাতে তাদেরকে কি হলত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে, নাকি অন্যকোন সিদ্ধান্ত হবে, সে ব্যাপারে চুয়েট প্রশাসন সিদ্ধান্ত দিবে। তবে ক্যাম্পাসের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশ রয়েছে।
তিনি রাত ১১টার পর বলেন, ছাত্রদের সাথে বৈঠক শেষ হয়েছে। তবে একাডেমিক বৈঠক (রাত ১১টার পরও) চলমান রয়েছে। বৈঠকশেষে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে ছাত্ররা অভিযোগ করেছেন ছাত্ররা হলত্যাগ না করায় হলে বিদ্যুৎ, পানির লাইন বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
পূর্বকোণ/জাহেদ/জেইউ/এএইচ