মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনাবাহিনীর ২৮৮ জন সদস্যকে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট থেকে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে বেসরকারি জাহাজ কর্ণফুলীতে করে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় গভীর সাগরে। সেখানে নোঙর করা মিয়ানমারের জাহাজ চিন ডুইনে করে তাদের মিয়ানমারে নিয়ে যাওয়া হবে।
এর আগে কড়া নিরাপত্তায় ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভোরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে ৮টি বাসে করে তাদের নেওয়া হয় নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএর ঘাটে। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা কর্ণফুলী জাহাজে তাদের হস্তান্তর করা হয়। এ সময় বাংলাদেশ-মিয়ানমারের পদস্থ কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
মিয়ানমারের আরাকান আর্মি ও সে দেশের জান্তা সরকারের মধ্যে চলা সংঘর্ষের জেরে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ২৮৫ জন বিজিপি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্য।
গত ফেব্রুয়ারিতে আসা ২৩৩ জনের মধ্যে তিনজন বিজিপি সদস্য অসুস্থ থাকায় এবার ২৮৫ জনের সঙ্গে তাদেরও ফেরত পাঠানো হয়েছে। গেল ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় বিজিপি ও তাদের পরিবারের ৩৩০ সদস্যকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
এদিকে গতকাল বুধবার মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসে ১৭৩ জন বাংলাদেশি। যারা বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমারের কারাগারে বন্দি ছিলেন।
পুলিশ জানায়, গতকাল দুপুরে মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজটিতে করে দেশটির উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলও কক্সবাজারে আসে। জাহাজ থেকে নামার পর তাদের সড়কপথে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবিস্থ বিজিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই বিদ্যালয়েই বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ২৮৮ নাগরিক রয়েছেন। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা তাদের পরিচয় শনাক্ত করে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করেন। এ সময় বিজিবির কক্সবাজার সেক্টরের কমান্ডার, নাইক্ষ্যংছড়ির জোন কমান্ডারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পূর্বকোণ/পিআর/এসি