কক্সবাজারের চকরিয়ায় ডাকাত ও পুলিশের মধ্যে গোলাগুলিতে প্রবাসীসহ ছয়জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার বরইতলী নতুন রাস্তার মাথায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, চকরিয়ায় পরিবারের সদস্যসহ ওমান প্রবাসীকে বহনকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসা ড্রামট্রাকের মালিক ডাকাতের গুলিতে আহত হন। পরে পুলিশ-ডাকাত গুলিবিনিময় হলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতদের ফেলে যাওয়া একটি কাটা বন্দুক উদ্ধার করে পুলিশ। পিটুনিতে আহত হয় প্রবাসীসহ পাঁচজন।
হাতের আঙ্গুলে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন ড্রামট্রাকের মালিক আব্দুল খালেক পুতু (৩০)। ডাকাতের পিটুনিতে আহত হয়- প্রবাসী রফিক উদ্দিন বাবুল, তার স্ত্রী মোশারফা বেগম, শাশুড়ি শাহেনা বেগম, শ্যালক জুলফিকার আলি ভুট্টো ও অটোচালক এহসান।
ডাকাতির সত্যতা নিশ্চিত করে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ঘটনার পরপরই চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রকীব উর রাজাসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ডাকাতির শিকার ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি তাদের কাছ থেকে প্রায় নগদ ১০ হাজার টাকা ও তিনটি মোবাইল সেট নিয়ে গেছে।
ওসি বলেন, ড্রামট্রাক নিয়ে ডাকাতদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে ডাকাতরা ৩ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। ওই সময় হারবাং ফাঁড়ির একদল পুলিশ দ্রুত আসলে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে, পুলিশও ৪ রাউন্ড পাল্টা গুলি করলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে ডাকাতের ফেলে যাওয়া একটি কাটা বন্দুক উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ও পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ডাকাতির শিকার জুলফিকার আলি ভুট্টো বলেন, আমার ভগ্নিপতিকে নিয়ে ওমান যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলে বরইতলী নতুন রাস্তার মাথায় ডাকাতির খপ্পরে পড়ি।
পূর্বকোণ/জাহেদ/জেইউ/পারভেজ