চট্টগ্রাম রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

অন্ধকার মাড়িয়ে আলোকিত জীবনের প্রত্যাশায় জলকেলি

কক্সবাজার সংবাদদাতা

১৯ এপ্রিল, ২০২৪ | ১০:৪৩ অপরাহ্ণ

গ্রীষ্মের দাবদাহে প্রাণ ওষ্ঠাগত। ঝড়-বৃষ্টির আভাস নেই। দেখা নেই ঠান্ডা হাওয়ার। চারপাশে রুক্ষ একটা ভাব। এমনই এক তপ্ত দিনে হৃদয় শীতল করার দ্বার খুলল জলকেলি উৎসব। ক্ষণিকের জন্য হলেও শত প্রাণকে রাঙিয়ে দিল এই আয়োজন।

 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) পর্যটন নগরী কক্সবাজারে উৎসবের সমাপনীতে অংশগ্রহণকারীরা ঘোর অন্ধকার মাড়িয়ে আলোকিত জীবনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। রাখাইন সম্প্রদায়ের মানুষ নতুন বছরে নতুনভাবে পথচলার প্রত্যয় জানিয়েছেন।

 

এদিন দুপুরে শহরের বিভিন্ন জলকেলি প্যান্ডেলে ছিল উৎসবের আমেজ। রাখাইন তরুণ-তরুণীরা বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে দলবেঁধে এক প্যান্ডেল থেকে আরেক প্যান্ডেলে ছুটে বেড়াচ্ছিল। একে অপরের মুখে মঙ্গল পানি ছিটিয়ে পুরনো বছরের সব দুঃখ-কষ্ট ভুলে নতুন বছরকে স্বাগত জানাচ্ছিল তারা। উৎসবের আনন্দে স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকরাও অংশগ্রহণ করেছিলেন। এতে বহুধর্মী ও বহুজাতিক সম্প্রীতির এক অপূর্ব নিদর্শন ফুটে উঠে।

 

জানা যায়, রাখাইন নববর্ষকে বলা হয় সাংগ্রেং। এই উৎসব রাখাইন বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে পালিত হয়। জলকেলি উৎসবে রাখাইনরা একে অপরের মুখে পানি ছিটিয়ে পুরনো বছরের দুঃখ-কষ্ট ভুলে নতুন বছরকে বরণ করে। এটি রাখাইনদের একটি ঐতিহ্যবাহী ও বর্ণিল উৎসব।

 

গত ১৭ এপ্রিল রাখাইন ১৩৮৫ মগীসনকে বিদায় জানিয়ে নববর্ষ ১৩৮৬ বরণ করেছিল। কক্সবাজার শহর ছাড়াও মহেশখালী, টেকনাফ সদর, হ্নীলা চৌধুরী পাড়া, রামু, পানিরছড়া, চকরিয়ার মানিকপুরসহ রাখাইন অধ্যুষিত সকল এলাকায় সপ্তাহব্যাপী এই উৎসব পালিত হয়েছে।

 

কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক মংছেন হ্লা জানিয়েছেন, সাংগ্রেং পোয়ে বা জলকেলি রাখাইন সম্প্রদায়ের একটি বৃহৎ সামাজিক উৎসব। সময়ের সাথে সাথে এই উৎসব সার্বজনীন রূপ লাভ করেছে।

 

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেছেন, রাখাইনদের জলকেলি উৎসবে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। কোথাও কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি। সুষ্ঠুভাবে সমাপ্ত হয়েছে এই বৃহৎ উৎসব।

 

পূর্বকোণ/এরফান/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট