ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুইজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনার চারদিন পর আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে মামলাটি দায়ের করেন নিহত শফিউল আলমের বড় ভাই শামসুল আলম মেম্বার।
মামলায় সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম সিকদারসহ সাতজনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে সৃষ্ট দ্বন্দ্ব এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে রূপ নেয়। দ্বন্দ্বে জড়িত দু’পক্ষই হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি। গত ১৬ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরপাড়া নবীন ক্লাব এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে। ওই সময় আহত সেলিম একইদিন রাত সাড়ে ৮টায় ও শফিউল আলম রাত ১টায় মারা যান।
ওসি বলেন, ঘটনার পর থেকে মামলা না হলেও হত্যায় জড়িতদের শনাক্তপূর্বক গ্রেপ্তার করতে একাধিক পুলিশ ফোর্স অভিযানে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে নিহত শফিউল আলমের বড় ভাই মৃত আব্দু সালামের ছেলে শামসুল আলম মেম্বার বাদী হয়ে থানায় এজাহার দেন। বিকেলে এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ডভুক্ত করা হয়।
মামলার প্রধান আসামি জাহিদুল মেম্বার একাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গত জানুয়ারি মাসেও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর প্রকাশ্যে সশস্ত্র হামলা চালায় সে। ওইসময় তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১৫। এর আগেও একাধিকবার তাকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ গ্রেপ্তারের পর অল্পদিন না যেতেই জামিনে মুক্ত হয়ে তার বাহিনী নিয়ে আবারও নানা অপরাধে সক্রিয় হয়ে উঠে।
ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, হত্যায় জড়িত কেউ পার পাবে না। দ্রুত গ্রেপ্তার করতে নানা কৌশলে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
পূর্বকোণ/জাহেদ/জেইউ/পারভেজ