চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বন্ধুদের সাথে ঝর্ণা দেখতে গিয়ে পানিতে ডুবে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের ছোট দারোগার হাট সুপ্তধারা ঝর্ণা এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
নিহতের নাম তাহমিদ মুনতাসির চৌধুরী (১৮)। সে চট্টগ্রামের রাউজানের বাসিন্দা। বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি কুসুমবাগ আবাসিক এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা মৃত মোহাম্মদ এরশাদ হোসেন চৌধুরীর ছেলে।
দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে থাকা বারৈয়াঢালা ইউপি চেয়ারম্যান মো. রেহান উদ্দিন রেহান জানান, এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া তিন বন্ধু আজ বুধবার দুপুরে তীব্র গরমের মধ্যে সুপ্তধারা ঝর্ণা দেখতে আসে। ঝর্ণা দেখে অনেকটা পথ হাঁটার পর তারা তিনজনই ক্লান্ত অবস্থায় ঝর্ণার কাছাকাছি কৃত্রিম জলাধারে গোসল করতে নামে। কিন্তু সাঁতার কাটার একপর্যায়ে তাহমিদ ডুবে গেলে খবর পেয়ে আমি ফায়ার সার্ভিসে খবর দিই এবং ঘটনাস্থলে আসি।
সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. নুরুল আলম দুলাল জানান, বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে কয়েকজন দর্শনার্থী সীতাকুণ্ডের ছোট দারোগার হাট সুপ্তধারা ঝর্ণা দেখতে আসে। দুপুর ২টার পর তারা ঝর্ণার সামনে থাকা কৃত্রিম জলাধারে নেমে গোসল করার সময় তাহমিদ নামক একজন তলিয়ে যায়। পরে তার সঙ্গীরা সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তার নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিকাল ৩টার দিকে লাশটি উদ্ধারে সক্ষম হন।
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে বিকালে সীতাকুণ্ডে ছুটে আসেন নিহত তাহমিদের মা নাদিয়া আক্তার। তিনি জানান, তাহমিদ এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। বুধবার সকাল ৭টার দিকে তাহমিদ তার দুই বন্ধু তাহসিন (১৮) ও মো. আকিলের (১৭) সাথে সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন পর্যটন স্পট দেখতে বের হয়। দুপুরে তার বন্ধু তাহসিন ফোন করে জানায় যে তাহমিদ পানিতে ডুবে মারা গেছে। ঘটনাস্থলে এসে দেখেন ফায়ার সার্ভিস লাশ উদ্ধার করেছে। পরে তিনি স্থানীয় চেয়ারম্যান, ফায়ার সার্ভিস ও বন্ধুদের কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা জানতে পারেন।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন জানান, এ ঘটনার জন্য তার মা কাউকে দায়ী না করে বিনা ময়নাতদন্তে ছেলের লাশ পাবার জন্য আবেদন করায় লাশ পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
পূর্বকোণ/সৌমিত্র/জেইউ/পারভেজ