মাটিরাঙার গোমতি ও বড়নাল ইউনিয়নে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অংশীজন অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক নাজমুন আরা সুলতানা। আরও বক্তব্য রাখেন- মাটিরাঙা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ডেজী চক্রবর্তী, মাটিরাঙার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মিজানুর রহমান, বড়নাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াছ, গোমতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তফাজ্জল হোসেন প্রমুখ। এ সময় মাটিরাঙা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. ইশতিয়াক আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক নাজমুন আরা সুলতানা বলেন, বর্তমান সরকার জনবান্ধব সরকার। সরকারি চাকরিজীবীদের পাশাপাশি সকল শ্রেণির মানুষের সুরক্ষায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে। ১৮-৫০ বছর বয়সী ব্যক্তিরা এ খাতে বিনিয়োগ করতে পারবেন। প্রবাসী, বেসরকারি চাকরিজীবী, অ-প্রাতিষ্ঠানিক কর্মী ও স্বল্পআয়ের ব্যক্তিরা ১-৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবেন।
প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় এ বিষয়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, কর্মজীবনে উপার্জিত টাকার কিছু অংশ পেনশন স্কিমে বিনিয়োগ করে একজন নাগরিক নিশ্চিত করতে পারেন তার আর্থিক নিরাপত্তা। সামর্থ্য অনুযায়ী সবাইকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আসার আহবান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বড়নাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াছ ও গোমতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তফাজ্জল হোসেনসহ ২০ জন সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় স্পট রেজিস্ট্রেশন করেন। এ সময় তাদের হাতে রেজিস্ট্রেশন ডকুমেন্ট তুলে দেন উপ-পরিচালক নাজমুন আরা সুলতানা ও ইউএনও ডেজী চক্রবর্তী।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে মাটিরাঙার সকল ইউনিয়নে অবহিতকরণ সভার আয়োজন করা হবে জানিয়ে ইউএনও ডেজী চক্রবর্তী বলেন, উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
পরে গোমতি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র ও আলেক চেয়ারম্যান পাড়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক নাজমুন আরা সুলতানা।
পূর্বকোণ/ছোটন/জেইউ/পারভেজ