চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

অভিযানে আটক দুটি মাটির ট্রাক থানা থেকে উধাও

সন্দ্বীপ সংবাদদাতা

২২ মার্চ, ২০২৪ | ১০:৪৪ অপরাহ্ণ

সন্দ্বীপ থানার বাউন্ডারির ভিতর থেকে রহস্যজনকভাবে মাটি ভর্তি দুটি ট্রাক উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ট্রাক দুটি দু’দিন আগে সন্দ্বীপ থানার পুলিশ আটক করেছিল। তবে অভিযোগ উঠছে পুলিশের সাথে যোগসাজশের ভিত্তিতে ট্রাক দুটি হঠাৎ উধাও হয়েছে।

 

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ দক্ষিণ সন্দ্বীপ থেকে মাটি ভর্তি দুটি ট্রাক আটক করে। ট্রাক দুটি অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল।

 

স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সারাদিন ট্রাক দুটি সন্দ্বীপ থানার বাউন্ডারির ভিতর জব্দ করে রাখা মোটরসাইকেলের ঘেরার পাশে ছিল। এগুলোর একটি সবুজ এবং একটি লালচে রঙের ছিল। শুক্রবার (২২ মার্চ) সকাল থেকে মাটির ট্রাকগুলো আর থানায় দেখা যায়নি।

 

জানা যায়, বুধবার রাতে সন্দ্বীপ থানার পুলিশের এসআই মাসুদ সারিকাইত ইউনিয়ন থেকে ট্রাক দুটি আটক করেন। পরদিন বৃহস্পতিবার তিনি সন্দ্বীপ থানা থেকে বদলি হয়ে অন্য একটি থানায় চলে যান। এসআই মাসুদ জানান, আটক ট্রাক দুটির মালিক স্থানীয় ব্যবসায়ী মাঈন উদ্দিন সওদাগর এবং মো. রাসেল সওদাগর।

 

এসআই মাসুদ পূর্বকোণকে বলেন, বুধবার রাতে মাটি ভর্তি দুটি ট্রাক আটক করে থানায় এনেছিলাম। বৃহস্পতিবার আমি সন্দ্বীপ থানা থেকে বদলি হয়ে চলে আসি। এরপর আর কিছু বলতে পারছি না।

 

আইন অনুযায়ী অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ট্রাক আটক করলে তা বিচারের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থাপন করতে হয়। কিন্তু পুলিশ আটক করা এই ট্রাক দুটি সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) কোন তথ্য প্রদান করেনি।

 

সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিগ্যান চাকমা বলেন, থানা আমাদের এই বিষয়ে কিছু জানায়নি। বিষয়টি খবর নিয়ে দেখছি।

 

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ ইসলাম বলেন, ১৭ মার্চ অভিযান চালিয়ে দুটি ট্রাক আটক করে তাদের দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছিলাম। এরপর আর কোন অভিযান পরিচালনা করা হয়নি।

 

শুক্রবার ট্রাকগুলো থানায় দেখতে না পাওয়ায় সন্দ্বীপ থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, মাটির ট্রাক সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। বিষয়টি দেখতে হবে।

 

তবে স্থানীয় পর্যায়ে অভিযোগ রয়েছে, থানার সাথে চুক্তি করে টোকনের মাধ্যমে রাতে ট্রাকে মাটি কেটে বিক্রি করা হয়। পুলিশ ধরলে টোকন দেখালে ছেড়ে দেয়।

 

 

পূর্বকোণ/নরোত্তম/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন