ক্যাপ্টেন সোবহানের নেতৃত্বে ১ নম্বর সেক্টরের অধীনে কক্সবাজারে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার। তিনি ঈদগাহ ব্রিজ অপারেশন ও ঈদগাহ পুলিশ বিট অভিযানে সরাসরি অংশ নেন। নুরুল আবছার বলেন, স্বাধীনতার প্রথম ঘোষক ছিলেন এমএ হান্নান, দ্বিতীয় ঘোষক আব্দুল গফুর হালিম এবং তৃতীয ঘোষক ডা. সুলতান আহমেদ। তিনি বলেন, মেজর জিয়া ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজারে আসেন। তিনি আসেন ৯/১০ জন সৈনিক-এলএমজিসহ অনেক অস্ত্র নিয়ে। কক্সবাজারে চারদিন থেকে মেজর জিয়া অস্ত্রগুলো মুক্তিযোদ্ধাদের বিতরণ করেন। এ সময় মেজর জিয়া আমাকে দেখে জিজ্ঞেস করেছিলেন- আমি কে। উত্তরে বললাম- আমি কক্সবাজার সংগ্রাম পরিষদের কন্ট্রোল রুমে থাকি এবং পাবলিসিটি করছি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার আরও বলেন, ৮ মার্চ কক্সবাজারে মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। এ সময় আমি কন্ট্রোলারের দায়িত্বে ছিলাম। অপারেশন সার্চ লাইটের পরে ২৬ মার্চ রাতে আমি কক্সবাজার থেকে মহেশখালী চলে যাই। তিনি বলেন, কক্সবাজারে সম্মুখ যুদ্ধ হয়নি, তবে মুক্তিযোদ্ধারা কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। এর মধ্যে ডুলাহাজারা, ঈদগাহ ব্রিজ ও পুলিশ বিট, ইপিআর অফিস, থানা এবং আনসার ক্যাম্প উল্লেখযোগ্য।
১৯৭১ সালের ৯ ও ১০ ডিসেম্বর কক্সবাজার উপকূল বঙ্গোপসাগর থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে ইন্ডিয়ার নৌ-বহর হতে বোমা ফেলা হলে রানওয়ে অকেজো করা হয়। পরেরদিন ১১ ডিসেম্বর কক্সবাজার থেকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গোপনে পালিয়ে যায়- সেজন্য কক্সবাজার শত্রুমুক্ত হয়।
উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার ১৯৫৪ সালে কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুল করিম ও মাতার নাম মমতাজ বেগম।
পূর্বকোণ/পিআর