চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

বিলুপ্তপ্রাপ্ত ‘রেংমিটচা ভাষা’ রক্ষার উদ্যোগ সেনাবাহিনীর

বান্দরবান প্রতিনিধি

১০ মার্চ, ২০২৪ | ৭:১৫ অপরাহ্ণ

পার্বত্য চট্টগ্রামের বিলুপ্ত প্রায় রেংমিটচা ভাষা রক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছে সেনাবাহিনী। পাহাড়ে শিক্ষার উন্নয়ন সেই সাথে রেংমিটচা ভাষা রক্ষায় বান্দরবানের আলীকদমের দুর্গম ক্রাংসি পাড়ায় একটি স্কুল করে দিয়েছে সেনাবাহিনী। ওই স্কুলটিতে শিক্ষার্থীদের বাংলা ভাষায় পড়ানোর পাশাপাশি রেংমিটচা ভাষারও চর্চা হবে।

 

আজ রবিবার (১০ মার্চ) সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্কুলটির উদ্বোধন করেন সেনাবাহিনীর বান্দরবানের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ।

 

সাথে উপস্থিত ছিলেন নবাগত রিজয় কমান্ডর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মেহেদী হাসান, আলীকদমের জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল শওকাতুল মোনায়েম। এছাড়া সাথে এলাকার লোকজন জনপ্রতিনিধি পুলিশসহ সবাই উপস্থিত থেকে স্কুলটির উদ্বোধন করেন।

 

সেখানে পাড়াবাসীদের জন্য ওয়ালটনের উদ্যোগে পানির ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়। এছাড়া স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে দেওয়া হয় শিক্ষাসামগ্রী। ওই স্কুলটিতে এখন ৪০ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। রয়েছে চারজন শিক্ষক।

 

এবার একুশে ফেব্রুয়ারি মহান মাতৃভাষা দিবসে পাহাড়ের বিলুপ্তপ্রায় রেংমিটচা ভাষা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিউজ প্রকাশিত হয়। এটি নজরে আসে সেনাবাহিনীর। আর এর পরই বিলুপ্তপ্রায় এ ভাষাটি রক্ষায় এগিয়ে আসে সেনাবাহিনী।

 

রিজিয়ন কমান্ডার জানান, সেনাবাহিনী পাহাড়ে জনসাধারণের নিরাপত্তা প্রদানের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা নিয়ে কাজ করে থাকে। এর অংশ হিসেবে দুর্গম এলাকায় শিক্ষার মানোন্নয়ন সে সাথে বিলুপ্তপ্রায় একটি ভাষা রক্ষায় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে।

 

বর্তমানে বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে দুর্গম ক্রাংসি পাড়ায় রেংমিটচা জাতির বসবাস। বর্তমানে এই জনগোষ্ঠীর মাত্র সাতজন এ ভাষায় কথা বলে। এদের সবারই বয়স ৬০ বছরের উপরে। এদের মৃত্যু হলে এ ভাষাটিও বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা তাদের। পাহাড়ের ম্রো সম্প্রদায়ের সাথে সংস্কৃতি ও বৈচিত্রে রেংমিটচাদের মিল থাকায় তাদের ভাষা এখন বিলুপ্তির পথে।

 

প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠী নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে তথ্য উঠে আসে। ভাষাটি রক্ষায় এখন সেখানে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এতে করে বিলুপ্তপ্রায় এই ভাষাটি রক্ষা পাবে বলে আশা স্থানীয়দের।

 

 

পূর্বকোণ/মিনার/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন