চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

স্পিডবোট ভাড়ার নিয়ম না মানার অভিযোগ, দর্শনার্থীদের হয়রানি!

কক্সবাজার সংবাদদাতা

৯ মার্চ, ২০২৪ | ৯:৪২ অপরাহ্ণ

মহেশখালীর ঐতিহাসিক শিব চতুর্দশী পূজা ও আদিনাথ মেলায় স্পিডবোট ভাড়ার নিয়ম না মানার অভিযোগ উঠেছে। দর্শনার্থীরা অভিযোগ করেছেন, স্পিডবোট চালকরা নিয়মিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা দাবি করছেন।

 

শনিবার (৯ মার্চ) সকাল থেকেই কক্সবাজার ৬ নম্বর জেটিঘাটে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যায়। এদিকে, মেলার ঘাটের অব্যবস্থাপনা, স্পিডবোটে লাইফ জ্যাকেট না থাকা এবং ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ করেছেন দর্শনার্থীরা।

 

ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে আসা হরি কিশোর ও জয়ন্ত রায় জানান, ১৩০ টাকা দিয়ে আদিনাথ জেটিঘাটে গেলেও আসার সময় তাদের তিনজনের কাছ থেকে চারজনের ভাড়া নেওয়া হয়েছে।

 

ভাড়া বেশি নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে স্পিডবোট চালক বলেন, ওজন বেশি হওয়ায় ১৩০ টাকার পরিবর্তে ১৬৫ টাকা বাড়তি ভাড়া নেওয়া হয়েছে।

 

তারা অভিযোগ করে বলেন, ওই চালকের নাম নয়ন। তার ছবিও তারা মুঠোফোনে তুলে রাখেন। এভাবে বাড়তি ভাড়া নিলে দর্শনার্থীসহ সকলেই হয়রানির শিকার হবে বলে জানান।

 

পূজা উদযাপন পরিষদের স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বে থাকা আকাশ দাশ জানান, স্পিডবোট চালকরা সিন্ডিকেট করে রিজার্ভ ভাড়া নিয়ে যেতে চায়। তবে তারা সেটি করতে দেয়নি। তবে কোন কোন স্পিডবোট নিয়মের বাইরে একজন করে বেশি নিচ্ছে। ১০ জন না হলেই যাচ্ছে না। তবে তারা স্পিডবোটে নয়জন করে যাত্রী এবং গাম বোটে ৪০ জন যাত্রী নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। গাম বোটে জনপ্রতি ৪০ টাকা ভাড়া স্পিডবোটে আদিনাথ জেটিঘাটে ১৩০ টাকা করে ভাড়া দিতে হবে বলে দর্শনার্থীদের জানিয়ে দিচ্ছে।

 

কক্সবাজার স্পিডবোট মালিক সমিতির সেক্রেটারি দিদারুল ইসলামের জানান, অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে তদন্ত করে উপযুক্ত সত্যতা পেলে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীকি মারমা জানান, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পায়নি তবে স্পিডবোট ভাড়ায় অতিরিক্ত টাকা আদায় বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, গত কয়েকদিন আগেও দর্শনার্থীদের অভিযোগ পেয়ে তা তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় জরিমানা করা হয়েছে। নয়ন নামে যে ড্রাইভারের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে তা তদন্ত করে প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ইউএনও।

 

এদিকে, মেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকরা মেলা এলাকায় টহল দিচ্ছেন।

 

 

পূর্বকোণ/এরফান/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন