চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর আহমদ

বাবার মৃত্যুর মিথ্যা খবর বলে হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে রক্ষা পাই

ইকবাল মুন্না, সাতকানিয়া

৯ মার্চ, ২০২৪ | ১:০৯ অপরাহ্ণ

বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর আহমদ সাতকানিয়ার দক্ষিণ চরতী গ্রামের মৃত মোহাম্মদ হোসেনের পুত্র। ১৯ বছর বয়সে তিনি যোগদেন মুক্তিযুদ্ধে। তখন তিনি ছিলেন ওমরগণি এমইএস কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। এক নম্বর সেক্টর কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী নূর আহমদ জানান, আমাদের এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য আহমদ ছফা।

তিনি আমাদের নিয়মিত যুদ্ধ এবং দেশ স্বাধীন করার বিষয়ে অনুপ্রেরণা যোগাতেন। এক সময় আহমদ ছফা আমাদের আগ্রহ কম দেখে একা চলে গেলেন যুদ্ধে। জুনের শুরুতে আমি শশাঙ্ক বিমল চৌধুরী ও রমিজ উদ্দিনের বাড়ি থেকে বের হয়ে পড়ি মুক্তিযুদ্ধের জন্য। আমরা পায়ে হেঁটে দোহাজারী পৌঁছলে আমাদের হানাদার বাহিনী ধরে ফেলে। তবে কৌশলে আমার বাবা মারা গেছে এমন খবর ভাইকে দিতে যাচ্ছি বলে ছাড়া পাই। সেখান থেকে আমরা চন্দনাইশ ধোপাছড়ি যাই। তখন আমাদের নেতৃত্ব দিতেন তৎকালীন বোয়ালখালী উপজেলার সাংসদ সুলতান আহমেদ চৌধুরী। সেখানে আমাদের উপর আক্রমণ হয়। পরে একটি গ্রুপে ভাগ হয়ে আমরা পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে রাজারহাটে গেলাম।

লোহাপথং নামক স্থানে আমাদের ওপর পাকিস্তানীরা আক্রমণ করে। সেসময় আমাদের অনেক মানুষ প্রাণ হারান। পরে আমরা সেখান থেকে ফটিকছড়ি রামগড় যায়। তারপর হরিনা গিয়ে ক্যাপ্টেন রফিক এবং সাবেক গণপরিষদ সদস্য আবু সালেহ আমাদের তালিকা করে ভারতে পাঠান। পরবর্তীতে ভারতের কাথারাবন্দী ক্যাম্পে ১২ দিন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। এরপর বাংলাদেশে ফটিকছড়ির খামার বাড়ি এলে গফুর নামে একজনকে গ্রুপ কমান্ডার করে আমাদের ১৭’জনের একটি দল তৈরি করা হয়। পরে খাগড়াছড়ি রাজনগরে এলে আমাদের সাথে প্রথম যুদ্ধ বাঁধে।

 

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন