আজ শুক্রবার থেকে মহেশখালী উপজেলার মৈনাক পর্বতের আদিনাথ মন্দিরে সনাতন ধর্মালম্বীদের শিব চতুর্দশী পূজা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি চলছে মেলা। চলবে ১৭ মার্চ পর্যন্ত। পূজা উপলক্ষে শিব দর্শন ও মেলা চলবে আগামী ১০ দিন পর্যন্ত। এদিকে সন্ধ্যার পর দেখা গেছে শত বছরে আদিনাথ মেলায় ধর্মীয় এই নীতিকে ছাপিয়ে দেখা মিলেছে সকল ধর্মের মানুষের। লাখো ভক্তের সমাগমের কারণে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। মেলা প্রাঙ্গণে বাড়ছে ভিড়। আগত দর্শনাথী ও পুর্ণ্যার্থীদের নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা।
এ বিষয়ে আদিনাথ মেলা দেখতে আসা শহরের পাহাড়তলীর বাসিন্দা বাবু জানান, মহেশখালীর ঐতিহ্য এই আদিনাথ মেলা। এখানে মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ সকল সম্প্রদায়ের লোকজন একে অপরের সাথে মিলেমিশে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করেন। সকলে একসাথে উৎসবমুখর পরিবেশে মেলা উপভোগ করছেন। মেলায় প্রসিদ্ধ খাবার মিঠাইর জিলাপি সবার কাছে প্রিয়। তাই মেলা থেকে জিলাপি নিয়ে যাচ্ছি। এদিকে প্রতিবছরের মতো এবারও আদিনাথ মন্দিরের শিবদর্শন করার জন্য ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমারসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো তীর্থযাত্রীর সমাগম ঘটেছে।
আদিনাথ মন্দিরের দায়িত্বে থাকা মন্দির সংস্কার কমিটির সভাপতি শান্তি লাল নন্দি, জানান, দূর-দূরান্ত থেকে আসা তীর্থযাত্রীদের সেবা দেওয়ার জন্য পূজা ও মেলা প্রাঙ্গণে কাজ করছেন শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক। মেলার আয়োজকরা জানান, আদিনাথ মন্দিরে শিবদর্শনের জন্য তীর্থযাত্রীরা সরাসরি গাড়িযোগে চকরিয়ার বদরখালী হয়ে মহেশখালীর আদিনাথে চলে আসেন। সমুদ্রপথে কক্সবাজার-মহেশখালী দুই জেটিতে তীর্থযাত্রীরা মেলায় আসতে পারবেন। বর্তমানে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ও মহেশখালী উপজেলার কালামারছড়া ইউনিয়নের-চালিয়াতলী ব্রিজ হয়ে জনতাবাজার-শাপলাপুর দিয়ে ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের শেষ প্রান্তে এসে আদিনাথ মন্দির এলাকায় গাড়িযোগে পৌঁছানো যায়।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী সন্ধ্যার সময় জানান, উপমহাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী তীর্থস্থান মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির। শিব চতুর্দশী পূজা ও মেলা সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে পূজা ও মেলা চলছে। এখানে পুলিশ, আনসার এবং গ্রাম পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। নিরাপত্তা বেষ্টনিতে ঢাকা রয়েছে পুরো পূজা ও মেলা প্রাঙ্গণ।
পূর্বকোণ/হোবাইব/রাজীব/পারভেজ