সীমান্ত পরিস্থিতির কারণে বন্ধ থাকা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুনধুম ও তুমব্রু সীমান্তের পাঁচটি স্কুল বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) খুলে দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, বর্তমানে সীমান্তে কোন গোলাগুলি ও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটায় ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় পাঁচটি প্রাথমিক স্কুল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলির কারণে অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় জেলা প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাথে সিদ্ধান্ত নিয়ে এই পাঁচটি স্কুল বন্ধ করে দেয়।

স্কুলগুলো হলো-বাইশফাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব স্কুলগুলোতে বুধবার থেকে পুনরায় পাঠ্যক্রম শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, সীমান্তে গোলাগুলির কারণে শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। এ কারণেই স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছিল।

জেলা প্রশাসক জানান, সীমান্তের জিরো লাইন ঘেষা স্কুলগুলো সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া যায় কিনা এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান আর্মির সাথে সেদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে দুজন নিহত ও পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর এই পাঁচটি স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সীমান্তের ওপার থেকে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের সরিয়ে নেওয়ার পর বর্তমানে বান্দরবানের সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে বিজিবি ও প্রশাসন জানিয়েছে।

পূর্বকোণ/পিআর