উন্নয়ন বিষয়ক রিপোর্টিংয়ের জন্য সম্মাননা পেলেন দৈনিক পূর্বকোণের সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি সৌমিত্র চক্রবর্তী।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তার হাতে পুরস্কার হিসেবে সম্মাননা ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও নগদ অর্থ তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম-৪ আসনের এমপি আলহাজ এস.এম আল মামুন।
উন্নয়ন বিষয়ক ক্যাটাগরিতে ‘গ্রীষ্মকালীন চাষেও সাফল্য কৃষকদের বদলাচ্ছে ভাগ্য’ মালেশিয়ায় যাচ্ছে টমেটো, প্রতিবেদনের জন্য সৌমিত্র চক্রবর্তী এ পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া পরিবেশ বিষয়ক ক্যাটাগরিতে ‘ছড়া আটকে শিল্প প্রতিষ্ঠানের বাঁধ, সংকটে কৃষক’ শিরোনামের প্রতিবেদনের জন্য প্রথম আলো প্রতিনিধি কৃষ্ণ চন্দ্র দাস ও মানবিক আবেদন বিষয়ক ক্যাটাগরিতে ‘একটি হিমাগারের স্বপ্ন ও উৎপাদন করেও সুখ নাই সীতাকুণ্ডের হাজারো কৃষকের।’ শিরোনামে প্রতিবেদনে লিটন কুমার চৌধুরীকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংস্থা ইপসা ও সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের যৌথ আয়োজনে ‘ইপসা-সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাব সাংবাদিকতা পুরস্কার-২০২৩ প্রদান উপলক্ষ্যে প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইপসার প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান।
এতে প্রধান বক্তা ছিলেন পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ বদিউল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ, মুরাদপুর ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাহার, উত্তর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজাহান, আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, এম.এ সামাদ, মো. সোহেল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এস.এম আল মামুন এমপি বলেন, সীতাকুণ্ডের সাংবাদিকরা এলাকার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। এখানে দীর্ঘসময় জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমি তা সবসময় অনুভব করি। তাদের লেখালেখিকে আরো অনুপ্রাণিত করতে ইপসা যে পুরস্কার প্রদান করছে তা প্রশংসনীয়।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে সরকারের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে ইপসাও। সমন্বিতভাবে ইপসা ভবিষ্যতে ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
এমপি এবার যারা পুরস্কার পেলেন তাদেরকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি যারা পুরস্কার পাননি কিন্তু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন তাদের জন্য শুভকামনা জানান।
ইপসার প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান বলেন, প্রতিযোগিতায় প্রত্যেকেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে এনেছেন। জুরি বোর্ডের বিবেচনায় তিনজন সাংবাদিক পুরস্কৃত হচ্ছেন। এ প্রতিযোগিতায় ইপসার মূল্য লক্ষ্য হচ্ছে প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের আরো উৎসাহিত করে এলাকায় উন্নয়নে তাদের ভূমিকাকে আরো গতিশীল করা। ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকবে বলে জানান তিনি।
পূর্বকোণ/সৌমিত্র/জেইউ/পারভেজ