মুখোশধারী সন্ত্রাসী কতৃক টেকনাফের উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়ায় আব্দুল হামিদ (১৪) নামে এক ছাত্র অপহরণের শিকার হয়েছে। অপহৃত আব্দুল আমিন (১৪) বাহারছড়ার মারিশবনিয়া হাইস্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্র। মা-বাবা, ভাই-বোনের সাথে পানের বরজে কাজ করার সময় অপহরণ করেছে সন্ত্রাসীরা।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাহারছড়া ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা পাহাড়ের পাদদেশে এ ঘটনা ঘটে।
বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফরিদ উল্লাহ প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বলেন, ‘সকালে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আবদুল আমিন পানের বরজে কাজ করতে যায়। আশপাশে আরও কয়েকটি পানের বরজ রয়েছে। হঠাৎ মুখোশধারী কিছু লোক অস্ত্রের মুখে তাকে জিম্মি করে। আশপাশের লোকজন জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে আবদুল আমিনকে নিয়ে গহিন পাহাড়ের দিকে চলে যায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত অপহরণকারীদের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের মুক্তিপণ দাবি করা হয়নি। বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে’।
পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে থাকা রোহিঙ্গারা টাকার জন্য স্থানীয় লোকজনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করছে। আবদুল আমিনকেও তারা অপহরণ করেছে। আগেও ওই পাহাড়ের বিভিন্ন স্থান থেকে স্থানীয় লোকজনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এটা তাদের বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। এ নিয়ে এলাকার মানুষ আতঙ্কের মধ্যে জীবন কাটাচ্ছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলেন, গত ১১ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৯৮ জন অপহরণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ৪৮ জন স্থানীয় বাসিন্দা আর বাকি ৫০ জন রোহিঙ্গা। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৪৫ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছে। পুলিশের তৎপরতার কারণে দীর্ঘদিন এসব কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এখানে মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। এসব প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।
বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘ছাত্র অপহরণের বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অপহৃত ছাত্রকে উদ্ধারে পুলিশ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে’।
পূর্বকোণ/কাশেম/জেইউ/পারভেজ