চট্টগ্রাম রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

কুতুবদিয়ায় ভুয়া জমি রেজিস্ট্রিদাতা কারাগারে

কুতুবদিয়া সংবাদদাতা

৩১ জানুয়ারি, ২০২৪ | ৯:৫০ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ভুয়া মালিক সেজে পরের জমি রেজিস্ট্রি দিতে গিয়ে আটককৃত এক প্রতারককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

 

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে আদালতে জামিনের আবেদন করেন ভুয়াদাতা মো. শামসুল আলম ও ক্রেতা জাফর আলম। এ সময় ক্রেতার জামিন মঞ্জুর করলেও ওই ভুয়া দাতার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন কুতুবদিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাঈদীন নাঁহী।

 

মামলায় বাদীর পক্ষে নিয়োজিত আইনজীবী মোহাম্মদ রাসেল সিকদার পূর্বকোণকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

এর আগে, এ ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে প্রকৃত জমির মালিকের ওয়ারিশ আতিকুল ইসলাম ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনে কুতুবদিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ভুয়াদাতা ও ক্রেতাকে আদালতে সোপর্দ করে থানা পুলিশ।

 

আসামিরা হল, উপজেলার লেমশীখালী ইউনিয়নের আনু বাপের পাড়ার আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. সোহেল, চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের তৈলার দ্বীপ এলাকার মৃত আজু মিয়ার ছেলে মো. শামসুল আলম (৬৫) ও কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশিখালী ইউনিয়নের নোয়াঘোনা এলাকার মৃত ছালা উদ্দিনের ছেলে জাফর আলম (৫৭)।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলায় অভিযুক্ত ২ নম্বর আসামি শামসুল আলম প্রতারণামূলক প্রকৃত মালিকের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহপূর্বক ব্যবহার করে নিজের পরিচয় গোপন রেখে ১ ও ৩ নম্বর আসামির প্ররোচনায় লেমশিখালী মৌজার বিএস ১৮২, আরএস ৪৯৬ ও এমআর ৫৫৬ নং খতিয়ানের ০.৫৭৯০ একর জমি মামলার ৩ নম্বর আসামি জাফর আলমকে বিক্রির জন্য মঙ্গলবার কুতুবদিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে আসেন।

 

পরবর্তীতে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসারের নির্দেশে যাবতীয় কাগজপত্র ও প্রকৃত জমির মালিক আমির হামজার পরিচয়পত্র প্রদর্শন করেন। অন্যান্য কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকলেও অভিযুক্ত ২ নম্বর আসামি শামসুল আলমের চেহারার সাথে জমাকৃত পরিচয়পত্রের কোনো মিল না থাকায় সাব-রেজিস্ট্রি কর্মকর্তার সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে ওই কর্মকর্তার জিজ্ঞাসাবাদে আসল পরিচয়সহ মামলায় অভিযুক্ত ১ নম্বর আসামি মো. সোহেল তাহাকে নগদ টাকার লোভ দেখিয়ে ভুয়া আমির হামজা পরিচয়ে রেজিস্ট্রি দেয়ার জন্য নিয়ে আসার কথা স্বীকার করেন। পরবর্তীতে ভূমি প্রতারণা অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার প্রমাণাদির ভিত্তিতে ভুয়াদাতা ও ক্রেতাকে পুলিশে দেন সাব-রেজিস্ট্রার। তবে এ ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সুকৌশলে পালিয়ে যান।

 

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ভুয়াদাতা সেজে রেজিস্ট্রি দেয়ার সময় ওই প্রতারকসহ জমির ক্রেতা জাফর আলমকে আটকপূর্বক পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন কুতুবদিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা শাহেদ হোসেন চৌধুরী।

 

 

পূর্বকোণ/সুজন/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট