পানির ওপর জেগে আছে কেটে নেওয়া অসংখ্য বাইনগাছের গুঁড়ি। চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কেটে ফেলা গাছের ডাল-পালা। এলাকাটি উপকূল রক্ষার জন্য সৃজিত প্যারাবনের অংশ। সেখানে এখন গড়ে তোলা হচ্ছে চিংড়ি ঘের। চিংড়ি চাষের প্রয়োজনে ইতিমধ্যে খননযন্ত্র স্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে চারপাশে বাঁধ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের সোনাদিয়া এলাকায় দেখা গেছে এই চিত্র। উপকূলীয় বন বিভাগের সৃজিত প্যারাবন কেটে এভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে একের পর এক চিংড়ি ঘের। প্যারাবন কেটে চিংড়ি ঘের গড়া রোধ করা যাচ্ছে না কিছুতেই।
মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)’র জায়গা। স্থানীয় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে দখল করায় ছোট হয়ে আসছে জেলার ঐতিহ্যবাহী সাগরদ্বীপ সোনাদিয়া। ইতিমধ্যে সেখানে প্যারাবন উজাড় করে চিংড়ি ঘের ও লবণ মাঠ করা হয়েছে। কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি রক্ষার জন্য প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ পরিবেশবাদী নেতাদের।
অর্থনৈতিক জোনের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তন্বয় হাসান বলেন, এটি সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের জায়গা। এই জমি দখলের ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আমরা জেলা প্রশাসক মহোদয়কে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।
কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ কামাল বলেন, জমি দখলের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার অভিযোগ করে কোন ফল পাইনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীকি মারমা বলেন, অর্থনৈতিক জোনের হস্তান্তরকৃত জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার কথা আমরা বেজা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আর সরকারি প্যারাবন সম্পত্তি কেউ দখল করতে পারে না। শিগগিরই আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
পূর্বকোণ/পিআর