কক্সবাজারের চকরিয়ার আলোচিত ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইনকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলায় পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছেন। এতে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় চেয়ারম্যানসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতসহ ৮৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হল- চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কোরালখালী এলাকার টুক্কু মিয়ার ছেলে মো. আরমান হোসেন (১৯) ও মোস্তফা কামাল (২৫), একই ওয়ার্ডের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে আমির হোসেন (৪৫), ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিএমচর এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে নুরশেদুল ইসলাম ছোটন (২০) ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শাহপুরা এলাকার সিব্বির আহমদের ছেলে জয়নাল উদ্দিন (৪২)।
আহত পুলিশরা হলেন- চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান (৪০), মোহাম্মদ আল ফোরকান (৪৫), কনস্টেবল ছাদরুল আমিন (৩৭) ও কনস্টেবল রাজু আহমদ (২৫)। তাদের মধ্যে তিনজন প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। তবে মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় ছাদরুল আমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পুলিশ জানায়, গত সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত টানা ৪ ঘণ্টা উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কোরালখালীর নবী হোছাইন চেয়ারম্যানের বাড়িতে অভিযান চালায়। তখন তার বাড়ির ছাদ থেকে শতাধিক ব্যক্তি পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এর ফাঁকে চেয়ারম্যানসহ তার অন্তত ৮৪ জন অনুসারী পালিয়ে যায়। পরে ধাওয়া করে গ্রেপ্তার করে পাঁচজনকে।
সাহারবিল ইউনিয়নের আলোচিত চেয়ারম্যান নবী হোছাইন প্রকাশ নইব্যা চোরা হিসেবেও বৃহত্তর চট্টগ্রামে বেশ নামডাক রয়েছে। তার বিরুদ্ধে চকরিয়াসহ বিভিন্ন থানায় গরু চুরিসহ ১৩টি মামলা রয়েছে। এই মামলাগুলোর মধ্যে দুটিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোছাইনের বিরুদ্ধে মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হাতে পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালাই। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তার লালিত সন্ত্রাসীদের দিয়ে পুলিশের কাজে বাধা প্রদান করার চেষ্টা চালিয়েছে। একপর্যায়ে তারা বাড়ির ছাদ থেকে পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে। পুলিশ জানমালের ক্ষতি হবে চিন্তা করে পিছে চলে আসে এবং থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পাঁচ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে নবী হোছাইন কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ২৪ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পূর্বকোণ/জাহেদ/জেইউ/পারভেজ