চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াবে বোরোর আবাদ

নিজস্ব সংবাদদাতা, বোয়ালখালী

২২ জানুয়ারি, ২০২৪ | ৭:০৪ অপরাহ্ণ

উপজেলায় শুরু হয়েছে বোরো ধানের চাষ। এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯০০ হেক্টর। তবে এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আতিক উল্লাহ।

 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, বোরো আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজস্ব খাতের আওতায় ১২০০জন কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে বীজ ধান ও সার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৪০০ জন কৃষককে দেওয়া হয়েছে উফশী জাতের বীজ ধান। ১০টি প্রদর্শনী এবং পার্টনার প্রকল্পের আওতায় ২টি প্রদর্শনী করা হচ্ছে। সরজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার শাকপুরা, সারোয়াতলী, করলডেঙ্গা, আমুচিয়া, শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ও পোপাদিয়ায় বোরো আবাদ হয়। বোরো আবাদের জন্য জমি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা।

 

আমুচিয়া ইউনিয়নের কৃষক আবদুল জলিল জানান, ১৮ একর জমিতে বোরো আবাদের জন্য ১ একর জমিতে বীজ তলা করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বীজ তলা ভালো হয়েছে। তিনি ব্রি-১০০ (বঙ্গবন্ধু), ব্রি-৯৬ ও ব্রি-২৮ জাতের বোরো ধানের চাষ করবেন। এ লক্ষ্যে এখন তিনি জমি তৈরিতে ব্যস্ত রয়েছেন। একই এলাকার কৃষক এসএম বাবর ৬ একর জমিতে বোরো ধানের চাষ করছেন। তিনি বলেন, জমি প্রস্তুত করার কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। দুই একদিনের মধ্যে রোপণের কাজ শুরু করা হবে। এবার ব্রি-১০০, ব্রি-৯৭, ব্রি-২৯ ও ব্রি-২৮ জাতের ধানে বীজ তলা করেছি।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আতিক উল্লাহ বলেন, উপযুক্ত আবহাওয়া বিরাজ করছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে উন্নতমানের বীজ তলা তৈরি হয়েছে। খাল খনন করায় পানি প্রবাহ বৃদ্ধির ফলে সেচ সংকট নেই। সারেরও সংকট নেই। বাজারের ধানের ভালো দাম থাকায় কৃষকরা বোরো আবাদে আগ্রহী। এতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। ইতিমধ্যে উপজেলার বেশ কয়েকটি অঞ্চলে কৃষকেরা বোরো ধান রোপণের কাজ শুরু করেছেন।

 

জমি চাষে পাওয়ার টিলার সংকট রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, রাজস্ব খাত থেকে প্রণোদনার আওতায় ১২০০ কৃষককে ২ কেজি করে হাইব্রিড বীজ ধান, ৪০০জনকে উপশী জাতের বীজ ধান ও সার দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ব্রি-১০০ (বঙ্গবন্ধু), ব্রি-৯৬, ব্রি-৯২, ব্রি-৮৯, ব্রি-৮৮, ব্রি-৬৭ জাতের ধান রয়েছে। তবে কৃষকদের মাঝে বঙ্গবন্ধু ব্রি-১০০ জাতের ধান চাষের আগ্রহ থাকায় এর বীজ ধানের চাহিদা ছিলো বেশি।

 

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন