শীতকালীন সবজিতে ভরপুর দোহাজারী রেলওয়ে মাঠ। প্রচুর পরিমাণে শীতকালীন সবজি বাজারে আসার কারণে দাম কমতে শুরু করেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দোহাজারী রেলওয়ে মাঠে শীতকালীন সবজিতে ভরপুর। প্রতিদিন কমছে সবজির দাম। পাইকারি ক্রেতারা প্রতিদিন ভিড় জমায় দোহাজারী রেলওয়ে মাঠ তথা সবজি বাজারে। ফলে চট্টগ্রাম মহানগরসহ বিভিন্ন এলাকায় সবজির চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয় দোহাজারী বাজারের সবজি। কৃষকদের মতে, প্রচুর পরিমাণে শীতকালীন সবজি বাজারে আসার কারণে প্রতিদিন ৫-১০ টাকা কমে যাচ্ছে কেজিতে। ধানের আবাদ করতে গিয়ে অব্যাহত লোকসান পোষাতেই তারা শীত মৌসুমে একটার পর একটা শীতকালীন সবজির আবাদ করে চলেছেন। সবজির আবাদে এখন তারা লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন। ফলে দিন দিন বাড়ছে শীতকালীন সবজির আবাদ।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সবজি ভাণ্ডার খ্যাত দোহাজারী রেলওয়ে মাঠে সকালের সবজি বাজারে সবজির দাম প্রতি কেজিতে গত কয়েকদিন আগের তুলনায় প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে। ১৪ জানুয়ারি দোহাজারী রেলওয়ে মাঠে গিয়ে দেখা যায়, বরবটি প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ২৫ থেকে ৩০ টাকা, শসা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, লাউ প্রতিটি ২০ থেকে ২৫ টাকা, পলাশ শিমের বিচি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, তিত করলা ২৫ থেকে ৩০ টাকা, ফুলকপি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, ধনিয়া পাতা প্রতি কেজি ২০ টাকা, বাঁধাকপি ১৫ থেকে ২০ টাকা। যা গত কয়েকদিন আগের তুলনায় ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজিপ্রতি কমেছে।
এ ব্যাপারে বাজারে আসা কৃষক চাগাচরের কবির আহমদ জানান, তিনি ২০ হাজার টাকায় এককানি জমি খাজনায় নিয়ে ফুলকপি ও বেগুন চাষ করেছেন। এতে তার আরো ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি ৫০ হাজার টাকার উৎপাদিত সবজি বিক্রি করেছেন। আরো লক্ষাধিক টাকার সবজি বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান। দোহাজারীর আবুল কালাম বলেছেন, গত ২/১ দিন আগে সবজির যে দাম ছিল, তা এখন নেই। প্রতি কেজিতে ২/১ দিনের ব্যবধানে ৫-১০ টাকা কমেছে। পাইকারি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেছেন, তিনি দোহাজারী থেকে সবজি ক্রয় করে রিয়াজ উদ্দীন বাজারসহ নগরীর বিভিন্ন কাঁচা বাজারে দিয়ে থাকেন। এতে তার গাড়িভাড়া ২ হাজার ৫শ, লাইন খরচ ২শ, লেবার খরচ ২ দফায় ৪শ টাকা খরচ হয়। প্রতি গাড়িতে ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ কেজি কাঁচামাল নিয়া যান বলে জানান।
এ ব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তা আজাদ হোসেন বলেছেন, চলতি সপ্তাহে শীতকালীন সবজি পুরোদমে বাজারে আসার কারণে দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে এসেছে। চন্দনাইশে ২ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির চাষ হয়। ফলে সাধারণ মানুষের চাহিদা মোতাবেক দোহাজারী থেকে সবজি পুরো চট্টগ্রামে ছড়িয়ে যাচ্ছে।
পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ