চট্টগ্রাম রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

চকরিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে মারধরের পর মৃত ভেবে ফেলে গেল সন্ত্রাসীরা

চকরিয়া-পেকুয়া প্রতিনিধি

১৫ জানুয়ারি, ২০২৪ | ৪:৪১ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও মারামারি, জমি দখল, মৎস্য ঘের দখল, প্যারাবন কাটাসহ নানা ধরনের ঘটনা ঘটছে। সর্বশেষ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কক্সবাজার জেলার সাবেক সদস্য আবুল কালাম আবুকে (৪৫) সন্ত্রাসীরা মারধর ও চোখে ছুরিকাঘাতের পর হাত-পা বেঁধে মারা গেছে মনে করে সড়কের পাশে ফেলে রাখেন।

 

আবুল কালাম আবু সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহসিন বাবুলের ছোট ভাই।

 

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার পূর্ব ভেওলা ইউনিয়নের আটারকুম এলাকা থেকে অপ্সান অবস্থায় আবুকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন। পরে তাকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করেন।

গুরুতর আহত আবুল কালাম আবু (৪৫) চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল খালেকের ছেলে। আবু বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

 

আহত আবুর বড় ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল বলেন, গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় ছোট ভাই আবু কক্সবাজার যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। গাড়ির জন্য সাহারবিল সড়কে দাঁড়ালে একদল সন্ত্রাসী থাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওই সন্ত্রাসীরা জোর করে আবুকে দিয়ে বাড়িতে মোবাইল করে কক্সবাজার পৌঁছাই বলে নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে সন্ত্রাসীরা আবুকে সারারাত মারধর করে এবং একটি চোখে ছুরিকাঘাত করে। সোমবার সকালে পূর্ব ভেওলা ইউনিয়নের আটারকুম এলাকায় ফেলে রেখে চলে যায়। সেখান থেকে স্থানীয় লোকজন মুমূর্ষ অবস্থায় আবুকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। ওইসময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আবু।

 

তিনি আরও বলেন, আবুল কালাম আবু জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য। গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছোট ভাই আবু প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও জেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশনায় কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান তথা হাতঘড়ি প্রতিকের প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীকের পক্ষে কাজ করেন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের দিন সাহারবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হাতঘড়ির পক্ষে এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনও করেন। মূলত নির্বাচনে হাতঘড়ির পক্ষে ভোট করায় প্রতিপক্ষের লোকজন এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে মহসিন বাবুল জানান। আবুল কালাম আবুকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বেও গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছিল।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ঘটনার খবর শোনার সাথে সাথে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এজাহার পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরই মধ্যে ঘটনাটি কে বা কারা ঘটিয়েছে তা শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে।

পূর্বকোণ/পিআর/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট