চট্টগ্রাম শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

কঠোর নিরাপত্তায় সেন্টমার্টিন পৌঁছেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম

টেকনাফ সংবাদদাতা

৬ জানুয়ারি, ২০২৪ | ১০:৪৫ অপরাহ্ণ

মূল ভূখণ্ড থেকে ৩৪ কিলোমিটার দূরে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হওয়ায় কঠোর নিরাপত্তায় নির্বাচনের একদিন আগে আজ শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) ব্যালট পেপারসহ সকল সরঞ্জামাদি নিয়ে কর্তব্যরত অফিসারগণ সেন্টমার্টিনদ্বীপে পৌঁছেছেন।

 

৯টি ওয়ার্ড নিয়ে সেন্টমার্টিন একটি ইউনিয়ন। স্থানীয় নির্বাচনে পৃথক-পৃথক ভোট কেন্দ্র হলেও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘জিনজিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ একটি মাত্র ভোটকেন্দ্র। যেখানে নারী পুরুষ আলাদা আলাদা বুথ বসানো হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের বুকে দাঁড়িয়ে থাকা আট বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের লোকসংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। নারী-পুরুষ মিলে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৬৭৪ জন।

 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাতজন প্রার্থী। তাঁরা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য শাহীন আক্তার (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী ও টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুরুল বশর (ঈগল), জাতীয় পার্টির নুরুল আমিন (লাঙ্গল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ফরিদুল আলম (আম), তৃণমূল বিএনপির মুজিবুল হক (সোনালী আঁশ), ইসলামী ঐক্যজোটের মোহাম্মদ ওসমান গনি চৌধুরী (মিনার) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোহাম্মদ ইসমাইল (ডাব)।

 

এবারে ভোটে সাড়া নেই সেন্টমার্টিনদ্বীপের মানুষের। কোন প্রার্থীই সেন্টমার্টিনে যাননি ভোট চাইতে। উখিয়া-টেকনাফে এবারের নির্বাচনে ৭ জন প্রার্থী হলেও মূল প্রতিদ্বন্ধিতা হবে নৌকা আর ঈগলের। দুই প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা নিয়ে উখিয়া ও টেকনাফ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এখন দু-ভাগে বিভক্ত। নেতাকর্মীদের এ বিভক্তি সেন্টমার্টিনেও প্রভাব পড়েছে। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মুজিবুর রহমান মুজিব নৌকার পক্ষে এবং সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলম ঈগলের পক্ষে কাজ করছেন।

 

নির্বাচন উপলক্ষে ৬ থেকে ৮ জানুয়ারি টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ রেখেছে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন। তাই পর্যটকদের তেমন দেখা নেই। ভরা মৌসুমে পর্যটক শূন্যে সুনসান নীরবে সেন্টমার্টিন। বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ড টিম সেন্টমার্টিন ভোটকেন্দ্র জিনজিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ দ্বীপে টহল দিয়ে যাচ্ছে।

 

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সেন্টমার্টিন স্টেশন ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট কমান্ডার অনিক মাহমুদ বলেন, স্থানীয় প্রশাসনকে সার্বিক সহায়তা প্রদানের জন্য কোস্টগার্ড মূলত মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে।

 

সেন্টমার্টিনে দায়িত্বরত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার নাজমুল বলেন, ‘ল’ এনফোর্সম্যান্ট এজেন্সি যারা আছেন তারা নির্বাচনে নিরাপত্তা প্রদান করবেন। তাছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল যারা থাকবেন তাঁদের সাহায্যার্থে নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ড দায়িত্ব পালন করবে।

 

 

পূর্বকোণ/কাশেম/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট