পটিয়ায় নৌকার দুই অফিসে আগুন দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে ভান্ডারগাঁও, সুইচগেইট ও ছনহরা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের আলমদারপাড়ায় অজ্ঞাতরা আগুন দিয়েছে নৌকা প্রার্থীর দুই অফিসে। এর আগে একইদিন রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান সড়কের পটিয়া উপজেলার গৈড়লার টেক এলাকায় নৌকার প্রচারণা শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে পথরুদ্ধ করে কিরিচ দিয়ে কুপিয়েছে নৌকার সমর্থক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকএসএম ফকরুল আলম সজীবকে (৪০)। পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অধ্যাপক হারুনুর রশিদ জানান, হামলার সময় সজীবের মোটরসাইকেলে পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেয় হামলাকারীরা । স্থানীয় লোকজন সজীবকে উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আঘাত গুরতর হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
কাশিয়াইশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম জানিয়েছেন, তিনি রাতে চট্টগ্রাম শহরের বাসায় ফিরে যাওয়ার পর জানতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন রাতে নৌকা প্রার্থীর অফিসে আগুন দিয়েছে। রাতে ৯৯৯ ফোন করে পুলিশের সহায়তা চাওয়া হলে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পদিরর্শন করেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগলের সমর্থকরা নৌকার অফিসে আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দাশ জানিয়েছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী পরাজয়ের বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত হয়ে সংখ্যালঘু এলাকায় ঢুকে বিভিন্ন ধরনের আতংক ছড়াচ্ছে। কাশিয়াইশ, ছনহরা, গৈড়লা, হাবিলাসদ্বীপ ও কেলিশহর ইউনিয়নে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা ধারাবাহিক হামলা চালিয়েছে। পৃথক তিন ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পটিয়া থানার ওসি জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর দুটি অফিসে আগুন ও প্রার্থীর সমর্থকের গাড়িতে আগুন দিয়ে হামলার ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর সত্যতা পেলে অবশ্যই মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হবে।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ