দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নিতে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সাক্ষরিত এ চিঠি পাঠানো হয়।
তাতে বলা হয়েছে, ‘চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া ও পেকুয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম এমপি গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর পেকুয়ায় প্রকাশ্য জনসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আমি মাতারবাড়ীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা খরচ করেছি। নেতাদের থ্রিস্টার হোটেলে রেখেছি। মাতারবাড়ীতে ৪০ হাজার মানুষকে খাবার দিয়ে ১ হাজার ট্রাক নিয়ে জনসভাকে সফল করেছি। আপনি সেখানে ঘোষণা করলেন, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি প্রার্থী।
জনসভায় তিনি আরও বলেন, ‘শোনেন নেত্রী, আল্লাহ উপরে আছেন, আমি দোষ করলে আল্লাহ আমার বিচার করবেন, কিন্তু আমি মনে করি আমার প্রতি অবিচার হয়েছে। আমাকে ঠকিয়ে আরেকজনের কাছে নৌকা দিয়ে আমার কাছ থেকে নৌকা কেড়ে নিয়েছেন।’
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জাফর আলমের এ বক্তব্য দম্ভোক্তিমূলক। যা সংগঠনিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও অমার্জনীয় অপরাধ। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সাময়িক অব্যাহতি ও কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করেন। তারই প্রেক্ষিতে জাফর আলম কর্তৃক নোটিশের জবাব কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সন্তুষ্ট না হওয়ায় তা গ্রহণ করা হয়নি।
এ প্রেক্ষিতে তার বিষয়ে চূড়ান্ত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদকে অনুরোধ করা হলো।
প্রসঙ্গত, বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম এবার নৌকার মনোনয়ন পাননি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তার বদলে নৌকা দেয়া হয়েছিল সালাহউদ্দিন আহমেদকে। ঋণ খেলাপির দায়ে তার মনোনয়ন বাতিল হয় । এই আসনের প্রার্থী হয়েছেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। তাকে সমর্থন জানিয়েছে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ।
পূর্বকোণ/জাহেদ/জেইউ