কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি বলেছেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে কক্সবাজার-১ আসন থেকে নির্বাচন করতে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিলেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চকরিয়ায় আসার সাথে সাথে লাখো মানুষ আমাকে অভিবাদন জানায়। এতে একাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত এমপি জাফর আলম দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে ক্ষোব্ধ হয়ে ব্যাপক ষড়যন্ত্র করে আমার মনোনয়ন ঠেকিয়ে দেয়।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় চকরিয়া পৌরশহরের আবাসিক মহিলা কলেজের হলরুমে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন সিআইপি বলেন, গত পাঁচ বছরে দখলবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্মের মাধ্যমে পরিবার সদস্যসহ নিজে স্থাবর-অস্থাবর, নামে-বেনামে অঢেল সম্পত্তির মালিক বনে যান। এতে চকরিয়া-পেকুয়ার মানুষ অতিষ্ঠ ও ভুলণ্ঠিত হয়েছে আওয়ামী লীগের সুনাম। এখানে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের পরিবর্তে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নিয়ে জাফর লীগ গড়ে তুলে।
তিনি আরও বলেন, চকরিয়া-পেকুয়াবাসীকে সুখে-শান্তিতে রাখতে ও এই সংসদীয় আসনে দখলবাজি, গরুচুরি-ডাকাতি, প্রকাশ্যে অস্ত্রবাজি বন্ধ করতেই প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে তৃণমূলের নেতাদের মতামত নিয়ে হাতঘড়ির পক্ষে কাজ করে জেতাতেই আজ থেকে আরাম হারাম করে কাজ শুরু করেছি। উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সকল নেতা-কর্মীকে নিজ নিজ এলাকায় হাতঘড়ির পক্ষে জোরালো কাজ করে সকল শ্রেণির ভোটারদের মনজয়পূর্বক ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে শান্তি ও আদর্শের চকরিয়া-পেকুয়া গড়ার আহবান জানান তিনি।
চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট ফয়জুল কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এসএম গিয়াস উদ্দিন, এটিএম জিয়া উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, পেকুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মিনু, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সরওয়ার আলম, একেএম গিয়াস উদ্দিন, মহসিন বাবুল, এস.এম আলমগীর হোসাইন, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশ, কৃষক লীগের পৌরসভার সভাপতি সুলাল কান্তি সুশীল, সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম, বিএমচর ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম জাহাঙ্গীর আলম, ঢেমুশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দিন চৌধুরী, বমুবিলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল কাদের, কাকারা ইউপি চেয়ারম্যান সাহাবউদ্দিন, লক্ষ্যারচর ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব বুলেট, চিরিংগা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন, মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরী, রাজাখালী ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল হক নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল প্রমুখ।
পূর্বকোণ/জাহেদ/জেইউ/পারভেজ