চট্টগ্রাম শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

কাশ্মীরে ভ্রমণে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরল রাউজানের দুইজন

রাউজান সংবাদদাতা

২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ৯:৪০ অপরাহ্ণ

ভারতের কাশ্মীরে ভ্রমণে গিয়ে বোটে অগ্নিদুর্ঘটনায় প্রাণ হারানোর একমাস ১২দিন পর দেহাবশেষ হয়ে ফিরে এল গণপূর্ত চট্টগ্রাম বিভাগের সাব ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার ইমন দাশ গুপ্ত (৩৪) ও গর্ণপূর্ত বিভাগের ঠিকাদার মাঈনুদ্দিন চৌধুরী (৪০)।

 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুইজনের মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

 

শনিবার বিকালে তাদের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স রাউজান পৌঁছালে স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠে পরিবেশ।

 

এর আগে, গত ৩ নভেম্বর অনিন্দ্য, ইমন ও মাঈনুদ্দিন ভারতের উদ্দেশে রওনা হন। এরপর জয়পুর, দিল্লি, আজমির শরিফ, আগ্রাসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান। গত ১০ নভেম্বর বিকেলে ওঠেন ডাল লেকের একটি হাউস বোটে। তবে বোটটি তাদের পছন্দ হয়নি বলে শুক্রবারই জানিয়েছিলেন স্বজনদের। এরপর ১১ নভেম্বর ভোরে হাউস বোটে আগুন লেগে অনিন্দ্য কৌশল, ইমন দাশগুপ্ত ও ঠিকাদার মো. মাঈনুদ্দিনের মৃত্যু হয়।

 

নিহতদের মধ্যে ইমন দাশগুপ্তের বাড়ি রাউজানের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঢেউয়াপাড়ায়। তিনি ওই এলাকার রাম কৃষ্ণ দাশের ছেলে। ঠিকাদার মাইনুদ্দিন কদলপুর ইউনিয়নের মোজাফফর হোসেন চৌধুরীর ছেলে। আর অনিন্দ্য মিরসরাইয়ের বাসিন্দা। তবে তিনি নগরের জামালখানে বাবা, মা ও স্ত্রী সন্তান নিয়ে থাকতেন।

 

প্রকৌশলী ইমন দাশগুপ্তের চাচাতো ভাই প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত বলেন, ভারত থেকে মরদেহ দেশে আনার পর ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্ত পরবর্তী আমার চাচাতো ভাইয়ের দেহাবশেষ হস্তান্তর করেছে। আজ ভাইয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। অন্যদিকে ঠিকাদার মাঈনুদ্দিনের দেহাবশেষ রাউজানে আনার পর দাফন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।

 

 

পূর্বকোণ/জাহেদ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট