চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

সাতকানিয়ায় নৌকার সমর্থককে মারধর ও দোকান ভাংচুরের অভিযোগ

সাতকানিয়া সংবাদদাতা

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ৭:৫৭ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চরতী ইউনিয়নে নৌকার সমর্থককে মারধর ও দোকান ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে ঈগল প্রতীকের সমর্থকের বিরুদ্ধে।

 

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার চরতী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাটাখালি ব্রিজ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহত ইলিয়াছ শাহীন চরতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও একই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য।

 

ইলিয়াছ শাহীন বলেন, নৌকার পক্ষে প্রচারণার অংশস্বরূপ জেলা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ আমার এলাকায় এসে আমার দোকানে বসেন। অনুষ্ঠান শেষে নেতৃবৃন্দ চলে গেলে চরতী ইউনিয়নের বর্তমান সদস্য সাইফুলের নেতৃত্বে আমাকে মারধর করে এবং আমার দোকান ভাঙচুর ও লুট করে। এ সময় আমার পরিবারের উপর তারা হামলা চালায়। আমি এ ঘটনায় শঙ্খিত।

 

এদিকে, চট্টগ্রাম-১৫ আসনের নৌকা প্রার্থী আবু রেজা নদভী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতালেব সিআইপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘাতের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

 

চরতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও নৌকা প্রার্থী নদভীর শ্যালক রুহুল্লাহ চৌধুরী পূর্বকোণকে বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে ফেরার পর চরতী ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে নৌকার সমর্থক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ইলিয়াছ শাহীনের উপর হামলা করে দোকানপাট লুটপাট করা হয়। এর আগে ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুকের বাড়িতেও হামলা চালায় তারা। বিভিন্ন বাড়িঘরে হামলা করেছে।

 

অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, পূর্ব ঘোষিত একটি অনুষ্ঠানের জন্য আমরা অপেক্ষা করছিলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেবের জন্য। এ সময় চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরী তার বাহিনী নিয়ে এসে আমাদের প্রচারণা বন্ধ করতে চাইলে কথা-কাটাকাটি হয় এবং তারা চলে যায়। এখানে মারধর এরকম কিছু হয় নাই।

 

সাতকানিয়া থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক (সেকেন্ড অফিসার) মোস্তাক আহমদ পূর্বকোণকে বলেন, চরতীতে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘাতের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে আমার টিম কাজ করছে।

 

এই বিষয়ে উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস বলেন, চরতী এলাকায় সংঘাতের বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ পাঠিয়েছি।

 

 

পূর্বকোণ/মুন্না/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট