কক্সবাজার জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
তাঁরা হলেন- কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের জাতীয় পার্টির সালাহউদ্দিন মাহমুদ ও কল্যাণ পার্টির আবদুল আউয়াল মামুন এবং কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে জাকের পার্টির মোহাম্মদ ইলিয়াস।
কক্সবাজারের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান আজ রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনজন প্রার্থী প্রত্যাহারের পর কক্সবাজারের ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ২৪ জন বৈধ প্রার্থী রয়েছেন। আগামীকাল সোমবার প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের দিন ধার্য্য রয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজারের ৪টি সংসদীয় আসনে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন বিভিন্ন দল স্বতন্ত্র মিলে ৩৫ জন প্রার্থী। যাচাই-বাছাই শেষে কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ ১০ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। বাতিল হওয়া প্রার্থিরা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে আপিল করলে কক্সবাজার-১ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুদ্দিন এবং কক্সবাজার-৩ আসনে মনোনয়ন পত্র দাখিলকারী ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির শামীম আহসানের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।
মনোনয়ন পত্র বৈধ প্রার্থীদের মধ্যে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে ৭ জন, কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে ৬ জন, কক্সবাজার-৩ (কক্সবাজার সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনে ৫ জন ও কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে ৬ জন। কক্সবাজার-১ আসন থেকে ২ জন ও কক্সবাজার-২ আসন থেকে ১ জন প্রত্যাহার করায় মোট প্রার্থী সংখ্যা ২৪ জন।
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসন থেকে মনোনয়নপত্র বৈধ প্রার্থী ৭ জন। তারা হলেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, জাপা কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি মৌলভী মো. ইলিয়াছের স্ত্রী জাতীয় পার্টির প্রার্থী হোসনে আরা, ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মুহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, বর্তমান সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাফর আলম (স্বতন্ত্র) ও তার ছেলে তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন (স্বতন্ত্র) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুদ্দিন। এ আসনে ঋণ খেলাপির অভিযোগে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে করা আপিলেও মনোনয়ন ফিরে পাননি আওয়ামী লীগ মনোনিত এ প্রার্থী।
কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসন থেকে মনোনয়নপত্র বৈধ প্রার্থী ৬ জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী শরীফ বাদশা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী মাহাবুবুল আলম, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মো. ইউনুস, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) প্রার্থী মোহাম্মদ খাইরুল আমিন।
কক্সবাজার-৩ (কক্সবাজার সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসন থেকে মনোনয়নপত্র বৈধ প্রার্থী ৫ জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট মোহাম্মদ তারেক, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ ইব্রাহিম এবং আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির শামীম আহসান।
কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসন থেকে মনোনয়নপত্র বৈধ প্রার্থী ৬ জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শাহীন আক্তার, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টো, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মনোনীত প্রার্থী ফরিদ আলম, তৃণমূল বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মুজিবুল হক মুজিব, ইসলামী ঐক্যজোটের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ ওসমান গনি চৌধুরী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী মো. ইসমাইল।
পূর্বকোণ/জাহেদ/জেইউ/পারভেজ