চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

মেরিন একাডেমির পাকিস্তানি ক্যাম্পে শাহজাহান গ্রুপকে নিয়ে অপারেশন পরিচালনা করি

সুমন শাহ, আনোয়ারা

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ১২:০৬ অপরাহ্ণ

বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবদুল হক বলেন, আমার জন্ম ১৯৪১ সালের ৩১ ডিসেম্বর আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের গুয়াপঞ্চক গ্রামে। পিতার নাম আবদুল মালেক মাস্টার। বটতলী মোহছেন আউলিয়া উচ্চ  বিদ্যালয় হতে ১৯৫৭ সালে ম্যাট্রিক পাস করি। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম সিটি কলেজ হতে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করি। এরপর স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নকালে তিনি শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক, মওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জড়িয়ে পড়ি রাজনীতিতে। বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবদুল হক বলেন, সেই ষাটের দশক থেকে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করি। ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯ -এর আয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ৭০ সালের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে এম.এন.এ প্রার্থী আতাউর রহমান খান কায়সার ও এম.পি.এ প্রাথী আখতারুজ্জামান বাবুর নির্বাচনে জোরালো ভূমিকা পালন করেছি।

 

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর চট্টগ্রাম শহর থেকে ছুটে যাই নিজ জন্মস্থান আনোয়ারায়। নেমে পড়ি স্থানীয় যুবকদের সংগঠিত করার কাজে। যুবকদের সংগঠিত এবং পাড়া-মহল্লায় কমিটি গঠন করে শুরু করি প্রতিরোধযুদ্ধ। গঠন করি মুক্তিযোদ্ধা গ্রুপ। ঐ গ্রুপটির দায়িত্ব নিই নিজেই। আমার নেতৃত্বে পাকিস্তানি হানাদার ও রাজাকার আলবদরদের ক্যাম্পে একের পর এক অপারেশন পরিচালনা করতে গিয়ে এই গ্রুপটি সর্বমহলে ‘কাজী হক গ্রুপ’ নামেই বহুল আলোচিত হয়ে ওঠে। যোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের এদেশীয় দোসর শান্তি কমিটির সদস্য, রাজাকার, আলবদর ও আলশামস্ধসঢ়; বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। বলতে গেলে আমরা জীবনবাজি রেখেই মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ নয় মাস অস্ত্র ধারণ করেছি শত্রুর বিরুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধে এই গ্রুপের রয়েছে ব্যাপক সাফল্য। সেই মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর দেশ শত্রুমুক্ত হওয়া পর্যন্ত গ্রুপের সদস্যদের সাথে নিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও এদেশীয় রাজাকার আলবদরদের বিরুদ্ধে একের পর এক অপারেশন পরিচালনা করি। আমার গ্রুপের যোদ্ধাদের হাতেই সপরিবারে ধরা পড়েছিলেন ফজলুল কাদের চৌধুরী। তিনি পরিবারের সদসদের নিয়ে চট্টগ্রাম শহর থেকে পালিয়ে যাচ্ছিলেন বার্মায় (মিয়ানমার)। সেদিন ছিল ১৪ ডিসেম্বর।

 

আমার (কমান্ডার কাজী আবদুল হক) ও শাহ জাহান ইসলামী গ্রুপের যোদ্ধারা ঐদিন সকালে মেরিন একাডেমির পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে অপারেশন পরিচালনা করি।

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন