কক্সবাজারের পেকুয়ায় জনসাধারণের চলাচল রাস্তা ও খাস জমি দখল করে পাকা দোকানঘর নির্মাণ করেছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি পরিবার। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানা প্রশাসন বরাবর এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী মো. ইব্রাহীম। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাবেকগুলদী সরকারিঘোনা এলাকার মৃত জাবের আহমদের ছেলে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সরকারিঘোনা এলাকার বাসিন্দা আবদুল মাবুদের ছেলে শাহজাহান, তাঁর ছেলে সাজ্জাদ, ও শাহ আলমের ছেলে কনিজ চারমাস আগে প্রভাব খাটিয়ে পেকুয়া মৌজার ১ নম্বর খতিয়ানের খাস জমি (দাগ নম্বর ৫৪৫) দখল করে নেয়। যা এলাকার জনসাধারণের চলাচল রাস্তা। ইতোমধ্যে ওই জায়গায় পাকা দালান নির্মাণ করা হয়েছে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ জুলাই ওই জায়গা দখলের ব্যাপারে বাধা দিতে গেলে অভিযোগকারীর ভাই তৌহিদুল ইসলামকে দখলদাররা মারধর করেন। পরে এ ব্যাপারে পেকুয়া থানা প্রশাসন বরাবর আরও একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাবেকগুলদি সরকারিঘোনা এলাকার সাধারণ মানুষের চলাচল রাস্তাটির মসজিদ সংলগ্ন অংশ ও পাশের খাস জমির উপর একতলা ছাঁদ দিয়ে পাকা দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ১৫ ফুট প্রস্থের রাস্তার আকার হয়ে গেছে ৮ ফুট। নির্মিত দোকানঘরের সামনে ইটের দেওয়াল দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে ড্রেনেজ সিস্টেম। ফলে রাস্তার বাকি অংশে পানি জমে গর্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অভিযুক্ত মো. কনিজ বলেন, আমরা রাস্তা ও কোন খাস জমি দখল করিনি। যেখানে দোকান নির্মাণ করেছি সেটা আমাদের দালিলিক জমির সামনের অংশ। এছাড়া দোকানঘরের সামনে যে ইটের দেওয়ালটি দেওয়া হয়েছে তা রাস্তার মাটি রক্ষার জন্য দিয়েছি। পরে তা মাটি দিয়ে ভরাট করে অপসারণ করা হবে।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুম্পা ঘোষ বলেন, ইউএনও মহোদয় সরকারি রাস্তা ও খাস জমি দখলের একটি অভিযোগ আমার বরাবর প্রেরণ করেছেন। অভিযোগটি আমি দেখেছি। বিষয়টি পেকুয়া ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা তদন্ত করছেন। তদন্ত রিপোর্ট হাতে আসামাত্র আমরা পরবর্তী পদক্ষেপে যাব।
পূর্বকোণ/জেইউ