কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবনী পয়েন্টে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার দুইজন মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা উভয়ে স্বামী-স্ত্রী। রবিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে তাদের উদ্ধার করে বিচকর্মী, লাইফগার্ড ও ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সিরাজ পরিচয় পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভোটার আইডির সূত্রে জানা গেছে- নিহত মো. আবুল কাশেম বকুল নাটোর বনপাড়া পৌরসভার বড়ইগ্রামের মো. রোবহান উদ্দিন আহম্মেদের ছেলে এবং বকুলের স্ত্রী সাবিকুন নাহার সুমা ঢাকা ডেমরা সারুলিয়া এলাকার সুলতান আলীর মেয়ে। এই দম্পতি থাকতেন নাটোর পৌরসভার বনপাড়া এলাকায়।
এসআই মো. সিরাজ বলেন, সৈকতের লাবনী পয়েন্টে দু’জনের মরদেহ বালিয়াড়িতে পড়ে থাকতে দেখে ব্যবসায়ীরা। পরে তারা ট্যুরিস্ট পুলিশ ও বিচকর্মীকে খবর দেয়। তারপর বিচকর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। পরে তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে আনা হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আপেল মাহমুদ বলেন, মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রয়েছে। তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। মৃত আবুল কাসেম বকুল ও তার স্ত্রী সাবিকুন নাহার সুমা নাটোর পৌরসভার বনপাড়া এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তারা গত শনিবার সকালে কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন এবং হোটেল সী-গালের ৩২৭ নম্বর কক্ষটি ভাড়া নেন। রবিবার সকালে গোসলের উদ্দেশ্যে দু’জন সৈকতে নামেন। পরে তাদের মৃত্যু হয়। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে আরও তদন্ত করা হচ্ছে।
পূর্বকোণ/এএইচ