চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই: ৭ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ, একজনের বাতিল

নিজস্ব সংবাদদাতা, মিরসরাই

৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ১:২৬ অপরাহ্ণ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১ মিরসরাইয়ের নির্বাচনী এলাকার প্রার্থীদের যাচাই-বাছাইয়ে ৮ জন প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন।

এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে আইটি বিশেষজ্ঞ মাহবুব উর রহমান রুহেলসহ ৭ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক।

আগামী ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদের নির্বাচনে এ ৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করবেন। অন্য প্রার্থীরা হলেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ ন্যাশনালিষ্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) মো. ইউসুফ, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ (বিএমএল) শেখ জুলফিকার বুলবুল, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী নুরুল করিম আবছার, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ প্রার্থী আব্দুল মান্নান, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ এমদাদ হোসাইন চৌধুরী।

আজ রবিবার (৩ ডিসেম্বর) জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত যাচাই বাছাইয়ের সময় কমিশন নির্ধারিত ১ শতাংশ ভোটার জালিয়াতির (ভূয়া সাক্ষর) অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মাহফুজা জেরিন জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে মোট ভোটারের এক শতাংশ ভোটারের সই নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হয়। এ আসনে তিন লাখ ৬৬ হাজার ৫২৫ ভোটারের এক শতাংশ অর্থাৎ তিন হাজার ৬৬৫ জন ভোটারের সই স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছেন। কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সই দেওয়া ভোটারের মধ্যে ১০ জন ভোটার সম্পর্কে যাচাই বাচাই করেছি। তারমধ্যে তিনজন ভোটার দেশের বাইরে থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ তারা একজন দেড় বছর, দুই বছর ও চার বছর ধরে প্রবাসে রয়েছে। এই অভিযোগে গিয়াস উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, মোট আটজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। তারমধ্যে সাতজনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুধুমাত্র একজনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। আগামী ৫ থেকে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বতন্ত্র ওই প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন