সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে কক্সবাজার -১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন তথা নৌকা প্রতিক পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তির খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই উপজেলা চকরিয়া ও পেকুয়ার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে মিষ্টিমুখ করানো শুরু হয় একে অপরকে। আনন্দ মিছিল হয় চকরিয়ার বদরখালী, ঢেমুশিয়া, পৌরসভা, পেকুয়ার সদর ও মগনামায়।
চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক জামাল উদ্দিন জয়নাল, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোছলেহ উদ্দিন মানিক, আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট ফয়জুল কবিরসহ কয়েক ডজন দলীয় নেতা অভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। তারা বলেন, আমরা ছাত্রলীগ করে আওয়ামী লীগে স্থান করে নিয়েছিলাম। কোন কারণ ছাড়াই শুধুমাত্র দলের সুনাম বহমান রাখতে কথা বলায় আমাদের কোণঠাসা করে রেখেছিল ব্যক্তি বলয় সৃষ্টি করতে। দীর্ঘদিন পরে হলেও বঙ্গবন্ধু কন্যা দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুযোগ্য নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপিকে মনোনয়ন দিয়ে আমাদের স্বস্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন। দলের জন্য ত্যাগী অথচ নিপীড়িত বঞ্চিত নেতারা অচিরেই দলে মূল্যায়িত হবে মনে করছি।
চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী ও সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, জাফর আলম এমপি হয়ে গত ৫ বছর আমরা কোণঠাসা অবস্থায় ছিলাম। প্রকৃত কোন আওয়ামী লীগারই দল করতে পারেনি, নানাভাবে শিকার হয়েছে। আশা করছি এবার সেই দুরূহ পরিস্থিতি কাটবে।
বিগত ১৯৯৬,২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে টানা তিনবার নৌকা প্রতিক পেয়েছিলেন সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি। প্রতিবারই তিনি হেরেছেন। এ ব্যাপারে ফের মনোনয়ন পাওয়া সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগকে মানুষের কাছে অগ্রহণযোগ্য করে তুলেছে জাফর। দলের সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করে নৌকাকে বিজয় করে কক্সবাজার – আসনটি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেয়ার পর নেত্রীর পরামর্শে চকরিয়া-পেকুয়ায় আওয়ামী লীগের সুনাম ফিরিয়ে আনতে কাজ করব।
এমপি জাফরের পক্ষে বিক্ষোভ
এদিকে বিকাল ৪টার পর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা হয়। এতে বর্তমান সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হলে চকরিয়া পৌরসভার বাসটার্মিনাল এলাকায় মহাসড়কে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো হয় তৃণমূল আওয়ামী লীগের ব্যানারে। এমপি পুত্র তুহিন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন আলমগীর, সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। ওই সময় দুটি গাড়ি ভাংচুর হয়। ঘটনার সাথে সাথে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ টিম ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন হয় এমন কাজ কাউকেই করতে দেওয়া হবে না। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে আমরা সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছি।
পূর্বকোণ/জাহেদ/জেইউ/পারভেজ