টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মানবপাচারকারী চক্র ইয়াইছিন গ্রুপের প্রধান ইয়াছিনসহ ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই অভিযানে নারী ও শিশুসহ ৫৮ জন ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার দালালরা হল- টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড মহেশখালীয়া পাড়ার আমজল হোসেনের ছেলে মো. ইয়াছিন (২৩), দরগারছড়ার জলু সওদাগরের ছেলে মো. জুবায়ের (৩৫), উত্তর লম্বরী এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে নাজির হোছন (৬১) এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়ণপুরের তাজুল ইসলামের ছেলে রামিমুল ইসলাম রাদীদ (৩১)।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মানবপাচারকারী চক্রের ইয়াছিন বাহিনীর প্রধানসহ ৪ দালালকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এ সময় অন্য আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে তাদের হেফাজত থেকে পাচারের জন্য জড়ো করে রাখা ৫৮ জনকে উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ, ১৬ জন নারী ও ৩৩ জন শিশু রয়েছে। একজন বাংলাদেশিও রয়েছে।
তিনি আরও জানান, উদ্ধার ৫৭ জন উখিয়া-টেকনাফ থানাধীন বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা। তাদের আর্থ-সামাজিক অনগ্রসরতা ও পরিবেশগত অসহায়ত্বকে পুঁজি করে উন্নত জীবন-যাপন, অধিক বেতনে চাকরি ও অবিবাহিত নারীদেরকে বিবাহের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণাপূর্বক ছল-চাতুরির আশ্রয় নিয়ে যৌন নিপীড়ন, প্রতারণামূলক বিবাহ ও জবরদস্তিমূলক শ্রমসেবা আদায়ের অভিপ্রায়ে ৩/৪ দিন ধরে ধাপে ধাপে আসামিরা ভিকটিমদের পাচারের প্রস্তুতি নেয়। পরে পাচারাকারীরা বিভিন্ন সিন্ডিকেটের যোগসাজশে মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনিশিয়া ভিকটিমদের পাচার করে। পালিয়ে যাওয়া মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ