খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপকভাবে মাশরুমের চাষ হয়েছে। গতকাল সোমবার থেকে পানছড়ি বাজারে দেখা মিলেছে দেশীয় মাশরুমের। এসব মাশরুম বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি এক হাজার টাকায়।
জানা গেছে, ২ নম্বর চেংগী ইউপির শ্রী কুন্তিমা ছড়া গ্রামের ধুর্যধন চাকমার সন্তান রিন্টু চাকমার বাড়ির আঙিনার পাশে প্রাকৃতিকভাবেই জন্ম নেয় এই মাশরুম। যাকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় ‘চাম্মু উল’।
রিন্টু জানান, বাড়ির পাশে জাম্বুরা গাছের নিচে উইপোকার গর্ত থেকেই সারাবছর মাশরুম বের হয়। এগুলো খেতে বেশ সুস্বাদু। বাজারে দামও বেশ চড়া। বছরে তিনবার মাটি ভেদ করে এই মাশরুম বের হয়। তাই বছরে বাজারজাতও হয় তিনবার। বিগত কয়েকদিনে প্রায় আট কেজির মতো মাশরুম বিক্রি করেছি। এছাড়া পাড়া-প্রতিবেশি সবাইকে কম-বেশি বিতরণও করেছি।
রিন্টু বাজারের খুচরা বিক্রেতা হলধর পাড়ার সোনাচি চাকমার কাছে পাইকারিতে ৮০০ টাকা দরে মাশরুম বিক্রি করেছেন। তার কাছ থেকে নিয়ে সোনাচি চাকমা বাজারে বিক্রি করছেন এক হাজার টাকা দরে।
বাজারের ক্রেতা ফেলারাম চাকমা জানান, এই ‘চাম্মু উল’ খুবই মজাদার। তাই দামও চড়া।
পানছড়ি উপজেলা সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অরুনাংকর চাকমা জানান, এটি এক জাতীয় ছত্রাক। যাহা মাটিতে জন্মে। তবে উইপোকার মাটির ভেতরের বাসা থেকেই এই চাম্মু উল (মাশরুমের) উৎপত্তি। পার্বত্য অঞ্চলে এটি একটি জনপ্রিয় সবজি। যাহার বর্তমান বাজারমূল্য প্রতিকেজি প্রায় ১ হাজার ২০০ টাকা।
পূর্বকোণ/আরডি