চট্টগ্রামের পটিয়া আল-জামিয়া মাদ্রাসায় হামলার ঘটনায় আবদুর রহিম (৪২) নামে একব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৮ নভেম্বর) রাতে পটিয়ার মুজাফরাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আবদুর রহিম পটিয়া উপজেলার খরনা চৌধুরী বাড়ির মৃত আবদুর রহমানের ছেলে। তিনি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের নাত-জামাই। গত ১ নভেম্বর আবদুর রহিম ওই মাদ্রাসার লিগ্যাল এডভাইজার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার।
তিনি জানান, আল-জামিয়া মাদ্রাসার মহা-পরিচালক ওবায়দুল্লাহ হামযাহকে জিম্মি করে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেওয়া এবং মাদ্রাসা ভাংচুরের ঘটনায় নেপথ্যে থেকে কাজ করেছেন আবদুর রহিম। এ ঘটনায় ওবাইদুল্লা হামযার দায়ের করা মামলায় আবদুর রহিমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) তাকে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হয়। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে শনিবার মধ্যরাতে পটিয়া আল-জামিয়ার মহা-পরিচালক ওবায়দুল্লাহ হামযাহ’র পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নেমে মহা-পরিচালকের বাসা ও মাদ্রসায় ভাংচুর করে কিছু দুর্বৃত্ত। এ সময় মহা-পরিচালক ওবায়দুল্লাহ হামযাহকে তার বাসা থেকে বের করে শিক্ষক মিলনায়তনে নিয়ে যায় এবং তার কাছ থেকে জোরপূর্বক একটি পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয় তারা। পরবর্তীতে তাকে মাদ্রাসা ত্যাগ করতে বাধ্য করে। ঘটনায় পরদিন রবিবার ওবাইদুল্লাহ হামযাহ বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫০-১০০ জনকে আসামি করে পটিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, আবদুর রহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে- এমন খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে মুজাফরাবাদ ও উত্তর মুরাদাবাদ এলাকার মানুষ তার শাস্তির দাবিতে মিছিল বের করে।
স্থানীয়রা জানান, আবদুর রহিম ভূমিদস্যু প্রকৃতির লোক। দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসার বেশ কিছু সম্পত্তি সে অবৈধভাবে দখল করে ভোগ করে আসছিল। মাদ্রাসার মহা-পরিচালক ওবায়দুল্লাহ হামযাহ এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আবদুর রহিম তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে এ কাণ্ড করেন।
পূর্বকোণ/আরডি/এএইচ