কক্সবাজারের পেকুয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখমের দু’দিন পর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার হরিণাফাঁড়ি এলাকায় নিহত জাকির হোসাইনকে (৪০) দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে একদল দুর্বৃত্ত। ওইদিন রাতে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকালে তার মৃত্যু হয়। জাকির হোসেন পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
এদিকে এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার ১৪ জনকে আসামি করে পেকুয়া থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেছিলেন নিহতের স্ত্রী নাহারু বেগম।
শুক্রবার আহত জাকির মারা যাওয়ায় মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে আদালতে আবেদন করা হবে বলে জানান পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর হায়দার। তিনি জানান, হরিণাফাঁড়িতে জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্ত্রী মামলা করেছেন। এ মামলায় ঘটনার পরদিন পুলিশ প্রধান আসামি আবদুল জলিলকে গ্রেপ্তার করেছে। আবদুল জলিল একই এলাকার শকির আলমের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে পেকুয়া বাজার থেকে হরিণাফাঁড়ির নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন জাকির হোসেন। স্থানীয় জয়নালের বাড়ির সামনে পৌঁছলে হামলাকারীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে জাকের হোসেনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
স্থানীয়রা জানান, মাসখানেক আগে চট্টগ্রামের পটিয়ায় নলকূপ স্থাপন কাজে যায় হরিনাফাঁড়ি এলাকার মনির উদ্দিনসহ ৫ জন ব্যক্তি। তারা সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা বাজার পাড়া এলাকার টিপু সোলতানের টিউবওয়েল স্থাপন কাজে শ্রমিকের কাজ করতেন। বকেয়া বেতনের টাকার লেনদেন নিয়ে তাদের সাথে টিপুর বাকবিতণ্ডা হয়। এর জেরে টিউবওয়েল স্থাপনের কিছু যন্ত্রপাতি জব্দ করে রাখে স্থানীয় মনির, সরফরাজ, পুতু, তারেক, মানিক ও মিরাজ। জাকের টিপুর পক্ষ হয়ে মনির গংদের সাথে বিরোধে জড়ান। এর জেরে তাকে কুপিয়ে আহত করা হয়।
পূর্বকোণ/জাহেদ/জেইউ/পারভেজ