পূর্ব শত্রুতার জেরে কক্সবাজারের পেকুয়ায় জাকের হোসেন (৪০) নামে এক আওয়ামীলীগ নেতাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ মামলার প্রধান আসামি আবদুল জলিলকে বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তার করেছে।
বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে আহতের স্ত্রী নাহারু বেগম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আহত জাকের হোসেন ওরফে মিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের হরিনাফাঁড়ি এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও সদর ৪ নম্বর ওয়ার্ড আ.লীগের সহ-সভাপতি। গ্রেপ্তার আবদুল জলিল একই এলাকার শকির আলমের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জাকের হোসেন সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আ.লীগের সহ-সভাপতি। বুধবার রাতে পেকুয়া বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। তিনি জয়নালের বাড়ির সামনে পৌঁছলে হামলাকারীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।
স্থানীয়রা জানান, মাসখানেক আগে পটিয়ায় নলকূপ স্থাপন কাজে যায় হরিনাফাঁড়ি এলাকার মনির উদ্দিনসহ ৫ জন ব্যক্তি। তারা সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা বাজারপাড়া এলাকার টিপু সোলতানের টিউবওয়েল স্থাপন কাজে শ্রমিকের কাজ করতেন। বকেয়া বেতনের টাকার লেনদেন নিয়ে তাদের সাথে টিপুর বাকবিতণ্ডা হয়। এর জেরে তাকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার আবদুল জলিলের পিতা শকির আলম বলেন, সমাজের সর্দার আমার বাড়িতে টিপুর কিছু যন্ত্রপাতি জিম্মায় রাখে। জাকের হোসেন মালামালগুলো নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। রাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে এসে দু’জনকে কোপায়। এ সময় মারপিটে জাকেরও আহত হয়েছে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওমর হায়দার মামলা রেকর্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
পূর্বকোণ/এএইচ