কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএনের সঙ্গে আরসা সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গুলিসহ ৫ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১ নভেম্বর) দুপুর ১টায় উপজেলার রাজাপালং ইউপির ৪ নম্বর এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আই ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন- ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পেঠান আলী (৫০), নুরুল ইসলামের ছেলে মো. জোবায়ের (২৫), মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে দিল মোহাম্মদ (২৬), আসাদুল্লাহ’র ছেলে শরীয়ত উল্লাহ (২৭), কালা সোনার ছেলে জিয়াবুর রহমান (২৬) ও আবু সৈয়দের ছেলে মোহাম্মদ আয়াছ (১৯)। এসময় ঘটনাস্থল তল্লাশি করে আটকদের কাছ থেকে দুটি ওয়ান শুটার গান, ১০ রাউন্ড গুলি, ৪টি গুলির খোসা, একটি ওয়াকিটকি, ২টি বাটন ফোন, ২টি এন্ড্রয়েড ফোন, ১টি টর্চ লাইট ও একটি ছোট কালো ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ১৪-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আরসাবিরোধী সন্ত্রাসীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির খবরে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এপিবিএনের উপর গুলি করে। নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য পুলিশও পাল্টা গুলি করলে সন্ত্রাসীরা পালনোর চেষ্টা করে। এ সময় ধাওয়া দিয়ে পাঁচ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়। তবে আটকদের মধ্যে এক নম্বর আসামি পেঠান আলীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিক তাকে জিইউকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে সে পুলিশ পাহারায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে ক্যাম্পের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। উদ্ধার অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ