চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

শক্তি দেখাতে লক্ষ্য বড় সমাবেশের

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৬ অক্টোবর, ২০২৩ | ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ

২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর আনোয়ারার জনসভায় বড় জমায়েত করতে চায় আওয়ামী লীগ। দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকের উপস্থিতি নিশ্চিত করে বড় ধরনের লোকসমাগমের প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন আ. লীগ। চট্টগ্রাম ছাড়াও আশপাশের জেলা থেকেও লোকসমাবেশের কৌশল নেওয়া হয়েছে। মূলত চট্টগ্রামেও বিএনপিকে শক্তি দেখাতে বড় জমায়েত করতে চায় আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে আগামী নির্বাচনের আগে জনমনে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা দেখাতে বড় জমায়েত করা হবে।

 

প্রধানমন্ত্রীর জনসভার আয়োজন করছে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ। জনসভায় ব্যাপক লোকসমাগম করতে মাসখানেক ধরে বিভিন্ন উপজেলায় প্রস্তুতি সভা করে আসছে জেলা আ. লীগ। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগও ঘরোয়া সভা করে প্রস্তুতি নিয়েছে। কিন্তু শেষমুহূর্তে কৌশল পাল্টে এখন বড় জমায়েতের প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ।

 

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মফিজুর রহমান বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের অগণতান্ত্রিক গুজবনির্ভর রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসভায় পরিণত করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনার জন্য নেতা-কর্মীরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত রয়েছে।’

 

গতকাল সকালে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সভা করেছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, ২৮ অক্টোবর স্মরণকালের বড় গণজমায়েতে শেখ হাসিনা দেশবাসীর উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবেন। তাই এই জনসভা স্মরণকালের জন্য স্মরণীয় করতে হবে। দেশবাসীকে জানান দিতে হবে, আওয়ামী লীগ অবিনশ্বর এবং অপরাজেয় সংঘশক্তি।

 

আওয়ামী লীগ ছাড়াও সহযোগী সংগঠন যুবলীগ বড় জমায়েত করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন। চট্টগ্রামের তিন সাংগঠনিক জেলা ছাড়াও কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলায় উপজেলা ও তৃণমূল পর্যায়ে প্রস্তুতি সভার তদারকি কমিটি গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় যুবলীগ।

 

দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বোয়ালখালী পৌর মেয়র জহুরুল ইসলাম জহুর বলেন, ‘তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয়ে করে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীর উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য মনিটরিং টিম করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।’ আজ বৃহস্পতিবার জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দক্ষিণের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতারা সমন্বয় সভা করবেন বলে জানান তিনি।

গতকাল মাঠ পরিদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।

 

আগামী ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন ও আনোয়ারা কেইপিজেড মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনসভাকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ।

 

গত বছরের ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউ- মাঠে জনসভায় বক্তৃতা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে আনোয়ারার কেইপিজেড মাঠ হচ্ছে পলোগ্রাউ- মাঠের চেয়ে তিন গুণ বড়। এছাড়াও দেশের সবচেয়ে বড় মঞ্চ হচ্ছে আনোয়ারায়। এতে তিন শতাধিক নেতা বসতে পারবে।

 

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছে দেশের অন্যতম বড় দল বিএনপি। ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে দলটি। এছাড়াও সরকারের উপর পশ্চিমা দেশের নানা চাপ রয়েছে। একই দিন ঢাকায় উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে মুখোমুখি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। উত্তপ্ত রাজনীতি। ইতিমধ্যেই চট্টগ্রামে বিভাগীয় সমাবেশ ও রোডমার্চ করেছে বিএনপি। বিএনপির সেসব কর্মসূচির জবাব দিতে এবার বড় জমায়েত করতে চায় আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই জনসভায় বিপুল সংখ্যক লোকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলটি। প্রধানমন্ত্রীর আগমনে নতুন সাজে সেজেছে পতেঙ্গা ও আনোয়ারা উপজেলা। আশপাশের সড়কগুলো বর্ণিল সাজে সাজানো হচ্ছে।

 

নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন পূর্বকোণকে বলেন, ‘দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে নগর, ওয়ার্ড ও ইউনিট আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন